সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

Whispers of Manhattan

 Whispers of Manhattan

একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প, নিউ ইয়র্ক শহরকে কেন্দ্র করে, দুই ভিন্ন জীবনের মানুষের ভালোবাসার অদ্ভুত পথচলা...

চরিত্র পরিচিতি:

  • Ethan Walker: ৩০ বছর বয়সী, নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী একজন ফটোগ্রাফার, একাকী জীবনযাপনকারী, প্রেমে বিশ্বাস হারিয়েছে।

  • Lena Carter: ২৬ বছর বয়সী, সদ্য নিউ ইয়র্কে ট্রান্সফার পাওয়া কর্পোরেট অফিসের এক ফ্যাশন ডিজাইনার। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি স্বভাব।

পর্ব ১: প্রথম দেখা

নিউ ইয়র্ক শহরের কোলাহল, উঁচু উঁচু বিল্ডিং, রাস্তার কফিশপ, আর চিরচেনা লাল ট্যাক্সির ভিড়ে, এক অচেনা সন্ধ্যায় এথান ও লেনার মুখোমুখি দেখা।

সন্ধ্যা ৬টা, ম্যাডিসন স্কয়ারের কফিশপে বসে ছিল এথান। হাতে তার ক্যামেরা, চারপাশে মানুষের ভিড়, আর নিজের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়া মন। হঠাৎ করে টেবিলের সামনে বসে পড়ল এক অপরিচিত মেয়ে।

"দুঃখিত! এক মিনিট বসতে পারি? বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা।"

এথান একটু অবাক, কিন্তু মাথা নাড়ল। "অবশ্যই।"

মেয়েটি তার গ্লাভস খুলতে খুলতে হেসে বলল, "আমি লিনা। নিউ ইয়র্কে আজই এসেছি। মনে হচ্ছিল কোথাও একটু বসি। আপনি খুব ব্যস্ত ছিলেন মনে হচ্ছে।"

এথান হালকা হাসল। "আমি এথান। ব্যস্ত না, শুধু কিছু ক্যামেরার কাজ করছিলাম।"

সেই শুরু...

পর্ব ২: অদ্ভুত সংযোগ

সেদিনের পর থেকে দু’জনের মধ্যে একটা অদ্ভুত যোগাযোগ তৈরি হল। এথান আর লিনা আবার দেখা করল সেই একই কফিশপে, প্রথমবারের মতো নয়, এবার ইচ্ছায়। লিনার চোখে ছিল নতুন শহরের কৌতূহল, আর এথানের চোখে ছিল ধীরে ধীরে গলে যাওয়া বরফ।

লিনা বলল, "তুমি কেন চুপচাপ?"

এথান তাকাল জানালার বাইরে, তারপর বলল, "ভালোবাসা একসময় আমার জীবনের সবচেয়ে আপন ছিল। কিন্তু এখন আমি ক্যামেরায় গল্প বলি, নিজের জীবনের নয়।"

লিনা ধীরে বলল, "তবে আমি বিশ্বাস করি, গল্পগুলো একদিন ফিরে আসে। মানুষও।"

পর্ব ৩: একসাথে নিউ ইয়র্ক

তারা একসাথে শহর ঘুরে বেড়াতে লাগল। সেন্ট্রাল পার্কের সাদা বরফ, ব্রুকলিন ব্রিজের সন্ধ্যা আলো, টাইমস স্কয়ারের ব্যস্ততা—সব কিছুতেই একটুখানি করে ভালোবাসা গেঁথে যেতে লাগল।

একদিন এথান তার পুরোনো ক্যামেরা দিয়ে লিনার ছবি তুলল। সেই মুহূর্তে লিনার মুখে যে হাসি ছিল, তা যেন এথানের আত্মার এক কোণ ছুঁয়ে গেল।

এথান বলল, "এই ছবিটা আমার সবচেয়ে প্রিয় হবে।"

লিনা তাকাল তার দিকে, মৃদু গলায় বলল, "আমি চাই, ছবির মতোই সেই মুহূর্তটাও চিরকাল থেকে যাক।"

পর্ব ৪: হৃদয়ের চিঠি

একদিন লিনা অফিসের একটি বড় সুযোগ পায় — লন্ডনে এক বছরের জন্য প্রজেক্ট। কিন্তু তার চোখে আনন্দ নয়, দুঃখ।

সে বলল, "আমি জানি না কী করব। এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য বড় সুযোগ, কিন্তু... নিউ ইয়র্ক আমার জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছিল।"

এথান শান্তভাবে বলল, "তুমি যা ভালো মনে করো, তাই করো। আমি তোমাকে থামাব না।"

কিন্তু রাতে, সে নিজের ডায়েরিতে লিখে রাখল:

"তুমি যদি চলে যাও, আমি শুধু ছবি তুলব। কিন্তু সেই ছবিতে থাকবে না রঙ, থাকবে না হৃদয়ের শব্দ।"

পর্ব ৫: দূরত্বের দিনগুলো

লিনা লন্ডন চলে গেল। দু’জন ফোনে, ভিডিও কলে যোগাযোগ রাখল। কিন্তু সময়ের ব্যবধান, জীবনের ব্যস্ততা, ধীরে ধীরে কথাগুলো কমে এলো।

এথান তার ছবিতে আবার একা হয়ে গেল। কিন্তু কিছু ছবি যেন শুধু লিনাকে নিয়েই তোলা — একটি মেট্রো ট্রেন, একটি খালি কফি কাপ, একটি হাতের ছায়া...

একদিন লিনা মেসেজ করল, "তুমি কি এখনও অপেক্ষা করছো?"

এথান লিখল, "আমি অপেক্ষা করি না। আমি শুধু হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় ধরে রাখি।"

পর্ব ৬: ফিরে আসা

এক বছর পর, নিউ ইয়র্কের প্রথম বরফ পড়ার দিনে, এথান সেই পুরোনো কফিশপে বসে ছিল। ঠিক তখন দরজা খুলে কেউ ঢুকল।

লাল কোট, ধবধবে হাসি, আর সেই চেনা গলার স্বর, "একটা সিট ফাঁকা আছে?"

এথান তাকিয়ে বলল, "তুমি তো জানো, আমার টেবিলে সবসময় একটুখানি জায়গা তোমার জন্য থাকে।"

লিনা বসে বলল, "আমি ফিরে এসেছি, সবকিছু ফেলে। কারণ কিছু ভালোবাসা থাকে শুধু হৃদয়ে নয়, শহরের প্রতিটি কোণে গেঁথে যায়।"

পর্ব ৭: ছবির মতো ভালোবাসা

তারা আবার একসাথে শহর ঘুরে বেড়াল। এবার কোনো তাড়াহুড়ো নেই, কোনো অনিশ্চয়তা নেই। শুধু একটানা হাসি, কথোপকথন আর ছবির অ্যালবামে লিনার জন্য আলাদা একটা পৃষ্ঠা।

এথান একটি নতুন প্রজেক্ট শুরু করল — "Whispers of Manhattan" নামে। প্রতিটি ছবি তাদের ভালোবাসার গল্পের প্রতিফলন।

শেষ ছবিতে ক্যাপশন লেখা ছিল:

“ভালোবাসা হারিয়ে যায় না, যদি মন সেই শহরে রয়ে যায়।”

মন্তব্যসমূহ