বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
চিঠির বাক্স
📝 গল্পের নাম: চিঠির বাক্স
📍 সেটিং: নিউ ইয়র্ক, বর্তমান সময় এবং ১৯৭০ দশকের পটভূমি।
💬 সারাংশ: নিউ ইয়র্ক শহরের এক পুরনো অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসরত ইভলিন কার্টার হঠাৎ একদিন তার চিঠির বাক্সে পায় বহু বছর আগের একটি প্রেমপত্র—যেটি ছিল মারগট ফিল্ডস নামে এক নারীর উদ্দেশ্যে লেখা। সেই চিঠিতে লেখা ছিল যুদ্ধফেরত সৈনিক জিমি কলাহানের হৃদয়ভাঙা প্রেমের কথা। কৌতূহলী ইভলিন সেই পুরনো চিঠির রহস্য খুঁজতে গিয়ে এক অনন্য প্রেমের ইতিহাসে জড়িয়ে পড়ে। তার নিজের জীবনও বদলে যেতে থাকে ভালোবাসার এক অদ্ভুত যাত্রায়।
✨ অধ্যায় ১: চিঠির বাক্স
ইভলিন কার্টার, ২৮ বছরের একজন চিত্রশিল্পী, ব্রুকলিনের একটি পুরোনো অ্যাপার্টমেন্টে থাকে। সেদিনটা ছিল একেবারে সাধারণ। সে তার স্টুডিওতে বসে আঁকছিল একটি নতুন পোর্ট্রেট। হঠাৎ ডাকপিয়নের শব্দে চমকে উঠে সে নিচে নেমে যায়। চিঠির বাক্স খুলতেই তার চোখ আটকে যায় একটি হলুদ খামে। খামে লেখা—"To Margot Fields"। কিন্তু এই ঠিকানায় এখন তো সে নিজে থাকে!
চিঠিটা হাতে নিয়ে সে ফিরে আসে তার ঘরে। চা বানিয়ে সে বসে পড়ে চিঠিটা খুলতে। চিঠির মধ্যে ছিল ভালোবাসায় মোড়ানো কিছু শব্দ:
প্রিয় মারগট,
আমি জানি না তুমি এখন কোথায় আছো, বা আদৌ বেঁচে আছো কিনা। কিন্তু আমি জানি, আমি তোমায় আজও ভালোবাসি।
যুদ্ধ শেষ, আমি বাড়ি ফিরছি। যদি পারো, আমার জন্য অপেক্ষা কোরো। ৭ নম্বর ট্রেনস্টেশনের বেঞ্চিতে বসে থাকব বিকেল ৫টায়।
ভালোবাসা সহ, জিমি
এই চিঠিটাই যেন ইভলিনের জীবনে নতুন দরজা খুলে দেয়। কে এই মারগট? কী হয়েছিল তাদের?
📚 অধ্যায় ২: অতীতের দরজা
ইভলিন খোঁজ নিতে শুরু করে। সে জানতে পারে যে মারগট ফিল্ডস ছিলেন এক সময়ে এই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা। বয়স হলে চলে যান ফ্লোরিডায়। সে ফেসবুকে খোঁজে, পুরোনো নিউজপেপার পড়ে, অবশেষে পায় একটি ক্লু—মারগট এখনও জীবিত এবং এখন ফ্লোরিডার একটি বৃদ্ধনিবাসে থাকেন।
তৎক্ষণাৎ সে সিদ্ধান্ত নেয়, ফ্লোরিডা যাবে। কিন্তু হঠাৎ একদিন স্টুডিওতে আসে লিয়াম রেয়েস, একজন প্রাক্তন নেভি অফিসার, যার গলায় ঝুলছিল একটি পুরনো লকেট—যেটাতে মারগট এবং জিমির একটি ছোট ছবি। ইভলিন জানতে পারে, লিয়াম ছিল জিমির ভাইপো।
লিয়াম আর ইভলিন মিলে বের হয় এক ভালোবাসার যাত্রায়, যেখানে জিমি আর মারগটের প্রেমের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের মধ্যেও গড়ে ওঠে এক নতুন সম্পর্ক।
🕰️ অধ্যায় ৩: ১৯৭০-এর প্রেম
(ফ্ল্যাশব্যাকে যাওয়া হয়)
১৯৭০ সালে মারগট ছিল এক সাহসী তরুণী। জিমি ছিল সদ্য নেভি-তে যোগ দেওয়া যুবক। তারা দুজনে ব্রুকলিনের পার্কে প্রথম দেখা করে। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব, প্রেম, প্রতিজ্ঞা। কিন্তু যুদ্ধ এসে সব কিছু ওলটপালট করে দেয়।
জিমি চিঠি লিখে যায়, কিন্তু একদিন তার একটি চিঠিও মারগট পায় না। ঠিক তখনই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বোঝাবুঝি ঘটে। মারগট ভাবে, জিমি হয়তো আর ভালোবাসে না।
🚂 অধ্যায় ৪: ট্রেন স্টেশনের বিকেল
ইভলিন এবং লিয়াম ফ্লোরিডায় গিয়ে মারগটের সঙ্গে দেখা করে। মারগট প্রথমে অবাক হয়, তারপর ধীরে ধীরে চিঠির কথা মনে পড়ে। সে জানায়—সে গিয়েছিল সেই ৭ নম্বর স্টেশনে। বসেছিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কিন্তু জিমি আসেনি।
ইভলিন তখন লিয়ামকে দেখে। লিয়ামের চোখে জল। সে জানায়, জিমি সেইদিন গিয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ হৃৎপিণ্ডে সমস্যা হয়ে ট্রেন স্টেশনের কাছেই পড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সে মারগটকে কিছুই জানাতে পারেনি।
❤️ অধ্যায় ৫: দুটি হৃদয়, দুটি যুগ
ইভলিন বুঝতে পারে, ভালোবাসা চিরস্থায়ী হতে পারে, যদি আমরা তাকে ধারণ করি। লিয়ামের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে সে অনুভব করে, তারা দুজন যেন জিমি আর মারগটের অসমাপ্ত গল্পের নতুন অধ্যায়।
লিয়াম ইভলিনকে বলে, “আমার চাচা বেঁচে থাকলে, হয়তো আজ তোমার মতো কাউকে ভালোবাসত। হয়তো তার শেষ ইচ্ছা ছিল তার চিঠি কেউ একদিন খুঁজে পাক।”
ইভলিন হাসে, বলে, “তাহলে আমরা এই গল্পটা শেষ করব, একসঙ্গে।”
🌅 শেষ অধ্যায়: চিঠির বাক্স
এক বছর পর, ইভলিন ও লিয়াম একসঙ্গে থাকে। তারা ছোট একটি প্রদর্শনী করে যেখানে জিমি ও মারগটের প্রেমের ওপর একটি চিত্রশিল্প প্রদর্শিত হয়। মারগটও উপস্থিত থাকেন, তার চোখে জল।
চিঠির বাক্সে ইভলিন একটি নতুন চিঠি রাখে—এইবার তার নিজের হাতে লেখা:
প্রিয় ভবিষ্যতের পাঠক,
যদি তুমি এই চিঠি পড়ো, জানো আমরা একদিন ভালোবাসা পেয়েছিলাম। এই শহর, এই ঘর, এই চিঠি... সবকিছু প্রেমের সাক্ষ্য। ভালোবাসো, খোঁজো, ধৈর্য ধরো। কারো গল্প অসমাপ্ত রাখতে দিও না।
– ইভলিন
📘 [সমাপ্ত]
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
নিজের ব্লগে ই-কমার্স ফিচার যুক্ত করার উপায় (প্রোডাক্ট বিক্রি করুন সরাসরি ব্লগ থেকেই)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
Google Sites দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করুন (Step by Step বাংলা গাইড ২০২৫)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন