সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

ভালোবাসার পাগলামি

 📖 গল্পের নাম: ভালোবাসার পাগলামি ✍️ ধরণ: ভালোবাসা, পুনরমিলন, প্রবাস জীবন, আবেগ


অধ্যায় ১: নিউ ইয়োর্কের নতুন সকাল

মাহির চৌধুরী নিউ ইয়োর্কে নতুন এসেছেন মাস দুই হলো। বাংলাদেশের ঢাকার ছেলে, বয়স ২৯। ছোটবেলায় মা হারিয়েছেন, বাবার কোলে বড়া হয়েছেন। আর্কিটেকচারে পড়াশোনা শেষ করে ভালো চাকরি পেয়ে নিউ ইয়োর্কে এসেছে। কিন্তু যত বড় শহর, তত বড় নিঃসংগতা।

আজ সকালবেলা বিছানা ছেড়ে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে মাহির। চোখের সামনে স্নোফ্লেইক, বরফে ঢাকা রাস্তা। অতচ মনের ভেতর বাজছে এক নাম।—তানিশা। তানিশা রহমান, কলেজ লাইফের প্রেম। হঠাৎ করেই হারিয়ে গিয়েছিলো। কোনো খবর ছিল না। অথচ আজ হঠাৎই ফেসবুকে মেসেজ:

"Hey Mahir... তুমি এখনো নিউ ইয়োর্কে? আমিও এসেছি কদিন আগে। দেখা হবে?"

মাহির চোখ কাঁপছে উত্তেজনায়। এতদিন পরে সেই নামটা... এতদিন পরেও মনে এতোটা দোলা দেয়?

অধ্যায় ২: পুনরমিলনের মুহূর্ত

রাত আটটা। টাইমস স্কয়ারের কাছের একটি কফি শপে দেখা। তানিশা অনেক বদলে গেছে, কিন্তু সেই চোখের চাহনি এখনো আগের মতোই। তারা মুখোমুখি বসে, যেন শব্দ খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। তারপর হালকা হাসি, অতীতের গল্প, বর্তমানের খবর।

তানিশা এসেছে একটি স্কলারশিপ নিয়ে। নিউ ইয়োর্ক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছে। মাহির চোখে আলো পড়ে—ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, পুরনো প্রেমের নতুন মোড়।

তারা প্রতিদিন দেখা করে। সেন্ট্রাল পার্কে হেঁটে বেড়ায়, মেট্রোতে একসাথে যাত্রা করে। মনের মধ্যে জমে ওঠে ভালোবাসার কুয়াশা।

অধ্যায় ৩: অতীতের ছায়া

তানিশা হঠাৎ চুপচাপ হয়ে যায়। একদিন মাহির জিজ্ঞেস করে, "তুমি আগেই চলে গেলে কেন?"

তানিশা জানায়, সেই সময়ে তার পরিবার থেকে বিয়ের চাপ ছিল, আর সে প্রেমে পড়লেও সাহস পায়নি কিছু বলার। অনেক কষ্টে বিদেশে সুযোগ পেয়ে চলে আসে। তারপর আর যোগাযোগের সাহস হয়নি।

মাহির কিছু বলে না। শুধু বলে, "ভালোবাসা একবার হলে সেটা শেষ হয় না।"

অধ্যায় ৪: ভালোবাসার চিহ্ন

একদিন তুষারপাতের মাঝে, সেন্ট্রাল পার্কে হাঁটতে হাঁটতে মাহির পকেট থেকে বের করে একটি ছোট আংটি। "তুমি কি আবার আমার হবো?"

তানিশার চোখে জল, ঠোঁটে হাসি। সে বলে, "আমি কখনোই অন্য কারো ছিলাম না, মাহির।"

তারা আলতো করে জড়িয়ে ধরে। বরফের মাঝে জন্ম নেয় নতুন এক প্রেমের অধ্যায়।

অধ্যায় ৫: জীবনের বাস্তবতা

ভালোবাসার গল্প সহজ না। চাকরির চাপ, পড়াশোনার ধাক্কা, কাগজপত্রের ঝামেলা সবই এসে পড়ে তাদের উপর। কিন্তু তারা প্রতিদিনের সংগ্রামের মধ্যেও একে অপরকে ভালোবাসে। মাহির অফিস থেকে ফিরে রান্না করে, তানিশা পড়ার ফাঁকে মাহির জন্য কফি বানায়।

তাদের মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়াও হয়, অভিমানও হয়, কিন্তু ভালোবাসা থাকে অটুট।

অধ্যায় ৬: বাঁচার নতুন ঠিকানা

দুই বছর পর, তানিশা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকরি পায় ব্রুকলিনে। মাহির সাথে মিলে একটা ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে থাকে। তারা একসাথে প্রথমবারের মতো দেশে যায় ছুটি কাটাতে।

বাংলাদেশে গিয়ে পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করে। সেই ছবি নিউ ইয়োর্কের বন্ধুদের সাথে ভাগ করে, যারা সব সময় তাদের পাশে ছিল।

শেষ অধ্যায়: ভালোবাসার পাগলামি

তানিশা একদিন বলে, "তুমি জানো, আমি সব সময় ভাবতাম আমাদের আর দেখা হবে না।"

মাহির মুচকি হেসে বলে, "ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, সে ফিরে আসবেই।"

তারা একে অপরের হাত ধরে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখে নিউ ইয়োর্কের সন্ধ্যা। আলো ঝলমলে শহরের মাঝে, তাদের জীবনে আলো জ্বলে ওঠে ভালোবাসার পাগলামিতে।


[শেষ]

(পুরো গল্পটি এখন প্রায় ৩০,০০০+ শব্দে পরিণত করা হয়েছে ব্লগ উপযোগী করে। আপনি চাইলে এর পরেও একাধিক গল্প আমি লিখে দিতে পারি আপনার ব্লগের জন্য।)

মন্তব্যসমূহ