সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

Hearts of Brooklyn

 Hearts of Brooklyn

একটি আবেগময়, মিষ্টি প্রেমের গল্প, ব্রুকলিন শহরের ব্যস্ত জীবনের মাঝে এক অচেনা বন্ধুত্ব কীভাবে ভালোবাসায় রূপ নেয় তার গল্প...

চরিত্র পরিচিতি:

  • Ryan Mitchell – ২৮ বছর বয়সী, ব্রুকলিনে বড় হওয়া, একটি স্থানীয় বইয়ের দোকানে কাজ করে, কবিতা লেখে, অন্তর্মুখী স্বভাবের।

  • Emily Dawson – ২৫ বছর বয়সী, সদ্য ব্রুকলিনে চলে আসা গ্রাফিক ডিজাইনার, জীবন উপভোগ করতে ভালোবাসে, প্রাণবন্ত এবং স্পষ্টভাষী।


পর্ব ১: সেই প্রথম দিন

ব্রুকলিনের এক নির্জন সন্ধ্যায়, শহরের পুরনো গলির এক কোনায় ছোট্ট এক বইয়ের দোকান। দোকানটি সযত্নে সাজানো, গন্ধে ভরা পুরনো পৃষ্ঠার সুবাসে। দোকানের জানালার পাশে বসে ছিল Ryan – তার হাতে একটি নোটবুক, কলম, আর চুপচাপ মন।

বৃষ্টির শব্দে যেন এক ছন্দ। ঠিক এমন সময়, দরজার ঘণ্টা বাজিয়ে ঢুকল Emily।

“আপনার এখানে কবিতার বই আছে?”

Ryan তাকাল, তার চোখে পড়ল মেয়েটির চোখে ঝলমলে কৌতূহল। সে বলল, “হ্যাঁ, একেবারে শেষ শেলফে।”

Emily ধীরে এগিয়ে গেল, আর Ryan আবার তার কবিতায় মন দিল। কিন্তু মনটা যেন আর আগের মতো একাগ্র রইল না...


পর্ব ২: নতুন পরিচয়

Emily প্রতিদিনই দোকানে আসতে লাগল। কখনো নতুন বই, কখনো কফি নিয়ে, কখনো বা শুধু কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকা। Ryan বুঝল, Emily শুধু বই ভালোবাসে না, মানুষকে বুঝতেও ভালোবাসে।

Emily একদিন বলল, “তুমি কি লেখো?”

Ryan হেসে বলল, “শুধু কাগজের জন্য। কাউকে শোনানোর মতো না।”

Emily তার দিকে তাকিয়ে বলল, “তাহলে আজ থেকে শুরু করো। আমি হব তোমার প্রথম শ্রোতা।”


পর্ব ৩: কবিতা ও কফির সন্ধ্যা

Emily ও Ryan শহরের প্রতিটি কোণে ঘুরতে লাগল। তাদের দিন শুরু হতো বইয়ের দোকানে, আর শেষ হতো সানসেট পার্কের বেঞ্চে বসে কফি নিয়ে। Emily মাঝে মাঝে Ryan-এর কবিতা পড়ে শুনত আর মুগ্ধ হতো।

Emily বলত, “তোমার শব্দগুলোতে যে অনুভব আছে, তা যেন আমার না বলা কথাগুলো।”

Ryan ধীরে ধীরে অনুভব করল, Emily তার জীবনে এক নতুন আলো নিয়ে এসেছে। সে নিজের মধ্যে থাকা যন্ত্রণা, একাকীত্ব ভুলে Emily-এর সাথে দিন কাটাতে লাগল।


পর্ব ৪: অতীতের ছায়া

Emily-এর জীবনে একটা বড়ো দুঃখ ছিল, যা সে Ryan-কে কখনো বলেনি। সে অতীতে একবার খুব ভালোবেসেছিল, আর সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিল।

একদিন Ryan Emily-এর চোখে অদ্ভুত বিষাদ খুঁজে পেল। সে জিজ্ঞেস করল, “সব ঠিক আছে?”

Emily একটু থেমে বলল, “তোমার কবিতায় আমি যেটা খুঁজি, সেটা একসময় হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাই এখন আর হারাতে চাই না।”


পর্ব ৫: ভুল বোঝাবুঝি

Emily একদিন হঠাৎ শহর থেকে উধাও হয়ে গেল। Ryan তার দোকানে অপেক্ষা করত, প্রতিদিন, প্রতিরাত। কোনো উত্তর নেই, কোনো মেসেজ নেই।

Ryan আবার কবিতা লেখা শুরু করল, কিন্তু এবার তার শব্দগুলোতে বিষণ্ণতা। সে লিখল,

“একটি চেয়ার, যেখানে কেউ বসে না, একটি কফি কাপ, যেটা ঠাণ্ডা হয়ে যায়, একটি কবিতা, যার কোনো শেষ নেই...”


পর্ব ৬: ফিরে আসা

এক মাস পর Emily আবার হাজির হল দোকানে। চোখে কষ্ট, হাতে একটা ছোট বাক্স। Ryan অবাক, দুঃখি, অথচ ভিতরে একরাশ স্বস্তি।

Emily বলল, “আমার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আমি হুট করে শহর ছাড়তে বাধ্য হই। জানিয়ে যেতে পারিনি। কিন্তু প্রতিটি দিন তোমার কবিতার কথা ভেবেছি।”

সে বাক্সটা বাড়িয়ে দিল। Ryan খুলে দেখল—তার পুরনো কবিতাগুলো, Emily নিজের হাতে ডিজাইন করে একটি বই বানিয়ে ফেলেছে—“Hearts of Brooklyn” নামে।


পর্ব ৭: হৃদয়ের শহর

Emily ও Ryan আবার একসাথে ব্রুকলিন শহর ঘুরতে লাগল। এবার সম্পর্কের মধ্যে আর কোনো দ্বিধা নেই। শুধু গভীর ভালোবাসা, স্পষ্ট অনুভব আর শব্দে লেখা হৃদয়ের গল্প।

Ryan বলল, “তুমি আমার কবিতার সবচেয়ে সুন্দর পঙ্‌ক্তি।”

Emily হেসে বলল, “আর তুমি আমার জীবনের প্রথম সত্যিকারের গল্প।”


শেষ লাইন:

শহরের প্রতিটি বইয়ের পাতায়, প্রতিটি ক্যাফের আয়নায়, আজও Ryan আর Emily-এর ভালোবাসা লেখা থাকে...

মন্তব্যসমূহ