বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
"মন্টানার মেঘলা জানালা"
📘 গল্পের নাম: "মন্টানার মেঘলা জানালা"
🎭 মূল চরিত্র:
-
Emily Carson – 28 বছর, Montana-তে বড় হয়েছে, New York এ সফটওয়্যার কোম্পানিতে প্রজেক্ট ম্যানেজার।
-
Ryan Mitchell – 31 বছর, Chicago থেকে আসা, একই কোম্পানির নতুন সিনিয়র ডেভেলপার।
🗺️ স্থান: New York City (Company: TechNest Inc.)
📍 অধ্যায় ১: জানালার ওপারে
এমিলি কারসন সকাল ৮টায় অফিসের কনফারেন্স রুমে ঢুকেই জানালার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। নিউ ইয়র্ক শহরের জানালা দিয়ে আসা হালকা আলো আর ব্যস্ত রাস্তার শব্দ তার মনটাকে কেমন করে তুলল।
আজ একটা নতুন প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে — আর তার দায়িত্বেও আসছে এক নতুন মুখ।
"Emily, meet Ryan Mitchell. He'll be working under your supervision," — HR ম্যানেজার বলল হেসে।
রায়ান ঢুকল ঘরে। পরনে নেভি ব্লু শার্ট, চোখে আত্মবিশ্বাসের ঝলক। এমিলি তার দিকে তাকিয়ে যেন একটু থমকে গেল।
একটু পুরনো অতীতের মত কেউ, আবার একদমই নতুন কেউ।
“Nice to meet you,” রায়ান বলল হাত বাড়িয়ে।
“Likewise,” এমিলি একটু মুচকি হেসে বলল।
তারা বুঝতেই পারেনি, এই কর্পোরেট অফিস আর জানালার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুই মানুষ, খুব শিগগিরই একে অপরের জগত হয়ে উঠবে।
📍 অধ্যায় ২: কাজের ভাঁজে আলতো অনুভূতি
প্রতিদিন একসাথে কাজ, একসাথে বসা, একসাথে প্ল্যান তৈরি করা — এমিলি আর রায়ানের মাঝে তৈরি হতে থাকে এক নরম সম্পর্ক।
তারা অনেক কথাই বলেনি, কিন্তু তাদের চোখের ভাষা একে অপরকে চিনে নিচ্ছিল।
“তোমার কফির মগে সবসময় মেঘের ডিজাইন থাকে, কেন?” একদিন রায়ান জিজ্ঞেস করল।
এমিলি হেসে বলল, “আমি ছোটবেলায় মন্টানার জানালায় বসে মেঘ দেখতাম। এখন শুধু কফির কাপে ওদের খুঁজি।”
রায়ান এক মুহূর্ত চুপ করে রইল। তারপর বলল, “তুমি জানো, মেঘরা কখনো এক জায়গায় থাকে না। তারা রওনা দেয়… কিন্তু হয়তো কারো মনের জানালায় থামে।”
এমিলি এবার কিছু না বলে শুধু তাকিয়ে রইল রায়ানের চোখে।
📍 অধ্যায় ৩: গোপন রাতের টেক্সট
সন্ধ্যা ৭টা। অফিস ছুটির অনেক পরেও এমিলি ডেস্কে বসে। ফাইল ক্লোজ করতে করতে তার ফোনে একটা টেক্সট এল।
📩 Ryan: "Still working? Your mists must be waiting outside."
এমিলি হেসে উঠল। "মিস্ট" — রায়ানের দেওয়া এক মিষ্টি ডাকনাম তার কফি-মগের মেঘের ডিজাইন থেকে।
সে উত্তর দিল,
📩 Emily: "They never wait. They just hover. 😌"
রায়ান লিখল,
📩 Ryan: "How about hovering near the coffee shop next block? My treat?"
একটু দ্বিধা নিয়ে এমিলি ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ল। অফিসের বাইরে থাকা ছোট ক্যাফেটাতে রায়ান অপেক্ষা করছিল।
“তোমার অফিসের বাইরে কেমন জীবন আছে, এমিলি?” – রায়ান জিজ্ঞেস করল।
“একটা শান্ত অ্যাপার্টমেন্ট, কিছু বই, আর জানালার ধারে এক গ্লাস ওয়াইন।” এমিলি হেসে বলল।
রায়ান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,
“তোমাকে জানালার ধারে একা ভালো লাগেনা?”
এই প্রশ্নটা যেন কিছু ভেতরে কাঁপিয়ে দিল এমিলিকে।
📍 অধ্যায় ৪: একসাথে একটি উইকেন্ড
কোম্পানির কনফারেন্স ট্রিপ – সবাই যাচ্ছে হাডসন ভ্যালিতে এক উইকেন্ড টিম বিল্ডিং রিট্রিটে।
বাসে উঠে এমিলি আর রায়ান পাশাপাশি বসেছে। বাকিরা আড্ডা দিচ্ছে, কেউ কেউ গান গাইছে। অথচ তাদের চোখে মুখে অন্য উত্তেজনা।
হোটেল রুম আলাদা হলেও সন্ধ্যার আগেই তারা হাঁটতে বের হলো কাছের ঝর্ণার দিকে।
ঝর্ণার শব্দে চারপাশ ভিজে উঠেছে। এমিলি জিজ্ঞেস করল,
“তুমি কখনো কাউকে ভালোবেসেেছ রায়ান?”
রায়ান উত্তর দিলো না। একটু পরে বলল,
“ভেবেছিলাম ভালোবাসা মানে সব কিছু শেয়ার করা। এখন জানি, ভালোবাসা মানে একে অপরের চুপ হয়ে থাকা বুঝে নেওয়া।”
এমিলি কিছু না বলে পাশে দাঁড়িয়ে রায়ানের হাতটা আলতো ছুঁয়ে দিল।
📍 অধ্যায় ৫: অনুভবের শুরু
পরদিন অফিসে ফিরে, কাজের চাপ দ্বিগুণ। কিন্তু রায়ান আর এমিলির চোখের মাঝে যেন একেকটা শব্দless ভাষা তৈরি হয়ে গেছে।
প্রজেক্ট নিয়ে মিটিংয়ের সময়েও, একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছোট্ট হাসি বিনিময় তাদের দুনিয়াকে আলাদা করে রেখেছে।
একদিন এমিলির ডেস্কে একটা ছোট্ট গিফট বক্স রাখা — ভিতরে ছোট্ট কাচের জানালা আকৃতির পেন্ডেন্ট। সঙ্গে ছোট্ট নোট:
📝 "For the one who still looks for clouds, even in concrete jungles." – R"
এমিলির চোখ ভিজে উঠল।
সে জানল, রায়ান শুধু তার কাজের সঙ্গী নয় — মন জানার মানুষ হয়ে উঠছে।
📍 অধ্যায় ৬: অফিসের বাইরে এক কাপ চা
রায়ান সকালে অফিসে ঢুকেই খেয়াল করল, এমিলির ডেস্ক খালি।
সকাল ৯টা ৩০ মিনিট — তার কখনও দেরি হয় না। চিন্তায় পড়ে গেল সে।
ঠিক তখনই ফোনে একটা টেক্সট এল।
📩 Emily: "Took a personal day. Just needed to breathe. Hope you understand."
রায়ান কয়েক সেকেন্ড চুপ করে ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকল।
তারপর লিখল:
📩 Ryan: "I do. Want company for that breath?"
কিছুক্ষণ পর রিপ্লাই এল না। কিন্তু দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে এমিলি কল করল।
"তুমি আসতে পারো... যদি সময় পাও। ক্যাফে ব্লু সাইনটা মনে আছে? সেখানে বসে আছি।"
রায়ান বিন্দুমাত্র দেরি না করে ছুটে গেল।
ওদের কথা হলো বই, জীবন, হারানো সময় আর কিছু না বলা অনুভূতি নিয়ে।
এইদিনটা বদলে দিল অনেক কিছু — ওদের মাঝের এক আড়াল ভেঙে গেল।
📍 অধ্যায় ৭: অফিসের জানালা থেকে বাইরে দেখা
এমিলি আর রায়ান অফিসে ফিরে আসার পর তাদের সম্পর্ক যেন আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
সহকর্মীরা টের পেলেও কেউ কিছু বলেনি। বরং তারা দেখছিলো, কীভাবে এই দুইজন একে অপরকে আরো ভালো মানুষ করে তুলছে।
একদিন এমিলি বলল,
"তুমি জানো, আমার জানালার পাশে বসা সবসময় একা লাগত।"
রায়ান হেসে বলল,
"আর এখন?"
"এখন... জানালার বাইরেও একজন আছে, যে জানালার ভিতরে তাকিয়ে হাসে।"
📍 অধ্যায় ৮: প্রথম ঝড়
সব সম্পর্কেই যেমন সুখ থাকে, তেমনি আসে কিছু ঝড়ও।
একদিন এমিলি জানতে পারল রায়ান একটা বড় প্রমোশনের অফার পেয়েছে — নিউ ইয়র্ক ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলসে যেতে হবে তাকে।
এমিলির মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল।
"তুমি যাচ্ছ?" – তার কণ্ঠ কাঁপছিল।
"তোমার কথা ভাবছি, এমি। আমি চাই তুমি আমার সাথে যাও।" – রায়ান বলল।
"রায়ান, আমি... আমি আমার পুরো জীবন নিউ ইয়র্কে গড়ে তুলেছি। এটা আমার শহর।"
রায়ান প্রথমবারের মতো চুপ হয়ে গেল। তারা দুজনেই জানত, সামনে এক কঠিন সিদ্ধান্ত অপেক্ষা করছে।
📍 অধ্যায় ৯: নিরব শহরের মাঝখানে
লস অ্যাঞ্জেলসের রাতটা ছিল নীরব।
রায়ান একটা হোটেল রুমে বসে জানালার বাইরে তাকিয়ে ছিল। তার চোখে নিউ ইয়র্কের আলো নেই, নেই এমিলির হাসি।
হঠাৎ ফোনে একটা ছবি এল — এমিলি পাঠিয়েছে।
📸 ছবি: ক্যাফে ব্লু-র টেবিল। তার পাশে দুটো কাপ। নিচে লেখা —
"This city feels colder without you." ❤️
রায়ান ফোনটা বুকে চেপে ধরল।
📍 অধ্যায় ১০: ফিরে আসা
তিন দিন পর, এমিলি তার ডেস্কে কাজ করছিল। তখন কেউ একজন এসে বলল,
"তোমার জন্য একটা প্যাকেজ এসেছে।"
ছোট একটা বাক্স।
খুলে দেখে একটা ছোট্ট কাঠের জানালা — হাত দিয়ে বানানো, পেছনে খোদাই করা:
"Window to my heart - Ryan"
এমিলির চোখ ভিজে গেল। সে ফোন হাতে তুলে রায়ানকে কল করল।
দূর প্রান্ত থেকে রায়ানের গলা এল:
"আমি ফিরছি এমি... শুধু তোমার জন্য।"
📍 অধ্যায় ১১: নতুন শুরু
রায়ান ফিরল। অফিসে নয়, নিউ ইয়র্কে নতুন একটা কোম্পানি থেকে অফার নিয়েছে, যাতে এমিলির কাছাকাছি থাকতে পারে।
এমিলি তাকে বলল,
"তুমি জানো, এই শহরটা এখন আর একা নয়। এখন এখানে দুটো হৃদয় একসাথে ধকধক করে।"
রায়ান হাসল,
"আর একটা জানালা, যেটা আমাদের ভালোবাসার পথ দেখায়।"
📍 অধ্যায় ১২: বরফের মাঝে প্রস্তাব
ডিসেম্বরের এক সন্ধ্যায়, এমিলি আর রায়ান সেন্ট্রাল পার্কে হাঁটছিল। চারপাশে হালকা বরফ, গাছের উপর আলোকসজ্জা।
হঠাৎ রায়ান থেমে গেল। তার পকেট থেকে একটা ছোট্ট বাক্স বের করল।
"Emily Carter, তুমি কি আমার জানালার পাশে সারাজীবন দাঁড়িয়ে থাকবে?"
এমিলির চোখ ভিজে উঠল, ঠোঁট কাঁপছে —
"Yes, Ryan. Always."
📍 অধ্যায় ১৩: হানিমুন ইন দ্য স্কাই
ওরা হানিমুনে গেল Colorado-তে, পাহাড়ের কেবিনে।
তুষারে ঘেরা পাইন গাছ, আগুনের পাশে ওদের হাসাহাসি — এই মুহূর্তটাই যেন জীবনের মানে।
রায়ান বলল,
"ভালোবাসা মানে শুধু কাছাকাছি থাকা না, মানে একসাথে বেড়ে ওঠা।"
এমিলি মাথা রাখল তার কাঁধে,
"তুমি আমার গল্প, আমার জানালা, আমার শহর।"
📍 অধ্যায় ১৪: স্বপ্নের বাসা
বিয়ের কয়েক মাস পর, এমিলি আর রায়ান নিউ ইয়র্ক সিটির বাইরের এক শান্ত উপশহরে একটা ছোট্ট বাড়ি কিনল।
বাড়ির সামনেই একটা চেরি গাছ, জানালার পাশে দোলনা।
প্রথম রাতে রায়ান বলল,
"তুমি জানো, এই জানালাটা ঠিক তোমার মত। শীতল রাতে আলো দেয়, গরমে ছায়া।"
এমিলি হেসে বলল,
"তোমার মত ছায়ার ভেতরে গায়ে রোদ মাখা আমার সৌভাগ্য!"
ওদের দিন কাটে— একসাথে কফি বানানো, পুরনো সুরে নাচ, রাতে ছাদে বসে তারার নিচে গল্প বলা।
📍 অধ্যায় ১৫: বাস্তবের ঝড়
কিন্তু সব গল্পে আসে এক মোড়।
হঠাৎ রায়ানের কোম্পানি downsizing শুরু করল। তার প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে গেল।
রায়ান মন খারাপ করে বলল,
"এত কষ্ট করে জীবন গুছিয়ে এনেছিলাম... আবার সব এলোমেলো।"
এমিলি তার পাশে বসে বলল,
"আমি রায়ানকে ভালোবেসেছি, তার চাকরিকে না। তুমি আমার ঘর। তোমার চাকরি গেলে কিছু যায় আসে না।"
এই শক্তিশালী ভালোবাসাই ওদের আবার পথ দেখাল।
📍 অধ্যায় ১৬: একসাথে নতুন পথ
রায়ান তার পুরনো ডিজাইন স্কিল দিয়ে freelancing শুরু করল।
এমিলি চাকরির পাশাপাশি evenings-এ সাহায্য করত ক্লায়েন্ট মেইল, পিচ প্রেজেন্টেশন।
ধীরে ধীরে রায়ান ও এমিলির “Window Studio” নামে একটি ডিজাইন এজেন্সি দাঁড়িয়ে গেল।
ওদের প্রথম ক্লায়েন্ট ছিল— সেই ক্যাফে ব্লু!
যেখানে ওদের প্রেমের শুরু।
📍 অধ্যায় ১৭: উপহার
একদিন এমিলি বাড়ি ফিরে দেখল ঘরের দেয়ালে নতুন একটা চিত্র।
দুটি জানালা—একটা খোলা, একটায় আলো জ্বলছে। নিচে লেখা:
"Two hearts, one window."
তার পাশে ছিল একটি খাম।
খামের ভিতরে ছিল একটি মেডিকেল রিপোর্ট।
পজিটিভ।
Emily is pregnant.
রায়ান পেছনে দাঁড়িয়ে বলল,
"আমাদের গল্পে আরেকটি চরিত্র যোগ হলো, এমি। এখন তিনজনের জানালা!"
📍 অধ্যায় ১৮: নতুন সকাল
সন্তান আসার আগে ওরা বাড়ির একটি ঘর সাজাল — নীল-সাদা দেয়াল, ছোট খাট, জানালার পাশে নরম পর্দা।
প্রথম কিক যখন এমিলি অনুভব করল, তখন সে বলল,
"এই ছোট্ট প্রাণ আমাদের গল্পে নতুন সূচনা আনবে। আমি কল্পনাও করতে পারছি না, কেমন হবে ওর চোখ, ওর হাঁসি।"
রায়ান বলল,
"তোমার মত হাসলে, আমার জীবন একদম পূর্ণ হয়ে যাবে।"
📍 অধ্যায় ১৯: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুর
রায়ান যখন হাসপাতালের করিডোরে পায়চারি করছিল, তার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর আশার ছায়া।
অবশেষে নার্স এসে বলল,
"Congratulations, it’s a girl!"
রায়ান ছুটে গেল এমিলির পাশে। তার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল,
"তুমি আমার জীবনে সবচেয়ে বড় উপহার দিলে, এমি!"
ছোট্ট শিশুটি ঘুমুচ্ছিল— ওদের মেয়ের নাম রাখল "Sophie"।
📍 অধ্যায় ২০: তিনজনের গল্প
সোফির জন্ম ওদের জীবন বদলে দিল।
রাত জাগা, একসাথে দোলনায় গল্প বলা, প্রথম হাঁটা দেখা— প্রতিটা মুহূর্ত প্রেমে মোড়া।
রায়ান বলত,
"তুমি আর এমিলি আমার হৃদয়ের দুই পাশে বাজা সুর।"
ওদের বাড়ি হয়ে উঠল ভালোবাসার পূর্ণ আবাস।
জানালার ধারে এখনও দোলনা দোলে, কিন্তু এখন তার পাশে থাকে সোফির ছোট্ট চেয়ারে একটা পুতুল।
📍 অধ্যায় ২১: সময়ের পালা
বছর কেটে যায়। সোফি স্কুলে যায়, এমিলি প্রমোশন পায়, রায়ান নতুন ডিজাইন ফার্ম খুলে ফেলে।
এক সন্ধ্যায় এমিলি বলল,
"আমরা কোথা থেকে শুরু করেছিলাম, মনে আছে?"
রায়ান হেসে বলল,
"একটা সাধারণ অফিস... একটা দরজা, যার ও পাশে তুমি ছিলে।"
এমিলি বলল,
"ভালোবাসা এমন একটা সফর, যেখানে গন্তব্য নয়, পথটাই সবচেয়ে সুন্দর।"
📍 অধ্যায় ২২: জানালার গল্প
বিয়ের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রায়ান আর এমিলি আবার গেল সেই ক্যাফে ব্লু-তে।
এক টেবিল, এক কফি, এক জানালা— সব ঠিক আগের মতো।
এমিলি বলল,
"তুমি জানো, আমার জীবনটা ঠিক জানালার মতো— আলো, হাওয়া, বৃষ্টি— সব আসে। কিন্তু জানালার পাশে যেই থাকে, সব সহজ হয়ে যায়। তুমি সেই মানুষ, রায়ান।"
রায়ান চুপচাপ তার হাতে একটা ছোট বাক্স তুলে দিল।
ভিতরে ছিল একটা সোনার ব্রেসলেট— লেখা ছিল:
"Still falling for you, one window at a time."
📍 অধ্যায় ২৩: ভালোবাসার উত্তরাধিকার
সোফি এখন বড় হচ্ছে। একদিন মা-বাবার পুরনো ছবি দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
"তোমাদের গল্পটা কীভাবে শুরু হয়েছিল?"
রায়ান বলল,
"একটা অফিস, একটা জানালা, আর একজোড়া চোখ যেগুলো আমায় বদলে দিয়েছিল।"
এমিলি বলল,
"ভালোবাসা গল্প নয়, উত্তরাধিকার। এটা তুমি একদিন কাউকে দেবে, ঠিক যেমন আমরা তোমাকে দিয়েছি।"
📍 শেষ অধ্যায়: জানালার বাইরের পৃথিবী
সময় চলে যায়। জানালার বাইরে নতুন গাছ, নতুন পাখি। কিন্তু ঘরের ভেতর—
একই চা-কাপ, একই দোলনা, আর একই মানুষ।
একদিন এমিলি চুপচাপ বলল,
"জানালার গল্পটা শেষ হয় না, রায়ান। জানো কেন?"
রায়ান বলল,
"কারণ জানালার বাইরে সব বদলালেও, জানালার পাশে আমি এখনও তোমার হাত ধরেই বসে আছি।"
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
নিজের ব্লগে ই-কমার্স ফিচার যুক্ত করার উপায় (প্রোডাক্ট বিক্রি করুন সরাসরি ব্লগ থেকেই)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
Google Sites দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করুন (Step by Step বাংলা গাইড ২০২৫)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন