সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

সিলিকন হৃদি

  সিলিকন হৃদি

📍 একটি আধুনিক অফিস রোমান্স, নিউ ইয়র্ক শহরে, যেখানে প্রযুক্তি আর হৃদয়ের সংঘর্ষে জন্ম নেয় এক অন্যরকম ভালোবাসা...


📍 অধ্যায় ১: প্রথম দেখা

নিউ ইয়র্ক সিটির মিডটাউনে একটি গ্লাস-বাউন্ড টেক কোম্পানি — NovaCore Technologies। টাওয়ারের ১৮ তলায় কাজ করেন এমিলি রিভারস, একজন কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট। বয়স ২৮, সোজাসাপ্টা, চশমার পেছনে গভীর চোখদুটো, আর কফির উপর নির্ভরশীল একজন পরিশ্রমী মেয়ে।

তার প্রতিদিন শুরু হয় ঠিক সকাল ৮:৩০-এ, কাঁধে ল্যাপটপ ব্যাগ, কানে হেডফোন, আর হাতে লাঠি কাঠির মতো এক কাপ ল্যাটে।

আজ একটু আলাদা ছিল।

লিফটে উঠতে গিয়ে হঠাৎ ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাচ্ছিল সে, ঠিক তখনই এক জোড়া শক্ত হাত তাকে ধরে ফেলল।

— “Whoa there! আপনি ঠিক আছেন?”

চোখ তুলে তাকাতেই এমিলি দেখল — ছেলেটির চোখ গভীর নীল, মাথার চুল এলোমেলো কিন্তু স্টাইলিশভাবে, আর মুখে এক মুচকি হাসি।

— “হ্যাঁ, ধন্যবাদ… আমি ঠিক আছি।”

— “গুড। আমি স্যাম — স্যাম বেনেট। আজই প্রথম দিন এখানে। ডেটা সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে জয়েন করলাম।”

— “ওহ! এমিলি রিভারস। কনটেন্ট টিম।”

তাদের হাসি বিনিময়, তারপর একসাথে লিফটে চড়া।
যেন এক লিফটেই কোনো গল্পের শুরু, এক জোড়া হৃদয়ের প্রথম ছোঁয়া।


📍 অধ্যায় ২: আধো আলোয় অফিস

স্যাম বেনেট — ৩০ বছরের, হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েট, কিন্তু সে একজন সফট বাঙালি হৃদয়ের মানুষ। বিশ্লেষণ আর অ্যালগরিদমের মাঝে তার একটা নরম দিক আছে, যেটা সে খুব একটা কাউকে দেখায় না।

এমিলির প্রতি তার নজর সেই প্রথম দিনের পর থেকেই আটকে গেছে। এমিলির স্মার্টনেস, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, আর মাঝে মাঝে চোখের কোনায় জমে থাকা ক্লান্তির রেখা — সব কিছুই তার মনে প্রশ্ন তোলে।

অফিস লাঞ্চরুমে প্রতিদিন হালকা কথা হতো, কিন্তু মনের কথাগুলো ছিল জমে থাকা এক ফোল্ডারের মতো — কেউ খুলে দেখত না।

একদিন লিফটে আবার দেখা।

— “তুমি কি সবসময় এতো সিরিয়াস থাকো?” স্যাম জিজ্ঞেস করল।

— “সিরিয়াস না। শুধু... মনটা ব্যস্ত থাকে।”

— “চলো একদিন কফি খেতে যাই। অফিসের বাইরে?”

এমিলি একটু চমকে উঠল। কিন্তু তার ঠোঁটে একরকম প্রশ্রয়ময় হাসি খেলে গেল।

— “ঠিক আছে। কাল সন্ধ্যায়?”

— “পারফেক্ট।”

এমিলির হৃদয়ে যেন অজান্তে একটা ট্যাব ওপেন হয়ে গেল — "সম্ভাবনার খোলা জানালা"।


📍 অধ্যায় ৩: কফিশপে এক সন্ধ্যা

ক্যাফে স্টামপটাউন, ওয়েস্ট ভিলেজ। হালকা আলো, পাশের জানালায় বৃষ্টি পড়ছে টুপটাপ করে। এমিলি আর স্যাম বসে আছে জানালার পাশে।

তাদের মাঝে কথা এগোচ্ছে — জীবন, ছোটবেলার গল্প, ক্যারিয়ার, একাকিত্ব, প্রেম...

স্যাম হঠাৎ বলল, “তুমি জানো, আমি সবসময় ভাবতাম টেক ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো যেন রোবট হয়ে যায়। কিন্তু তুমি আলাদা।”

— “আলাদা মানে?”

— “তোমার মধ্যে আবেগ আছে। স্পর্শ আছে। আর... কিছু একটা আছে, যেটা আমি ধরতে পারছি না, কিন্তু হারাতে চাই না।”

এমিলির বুক কেঁপে ওঠে।

কফির কাপে ঠোঁট ছোঁয়ালেও সে বুঝতে পারে — জীবনের পাতা যেন মোড় নিচ্ছে। কফির কাপে শুধু কফি নেই, আছে এক নতুন গল্পের ছোঁয়া।


📍 অধ্যায় ৪: ইমেইল, মিটিং আর মানসিক দ্বন্দ্ব

পরের দিন অফিসে এমিলি যেন আগের চেয়ে বেশি সতর্ক। স্যাম এখন শুধু সহকর্মী না, এক অদ্ভুত অনুভব — যে চোখে তাকালে মনটা ধরা পড়ে যায়।

তারা প্রতিদিন একসাথে লাঞ্চ করছে, লিফটে একসাথে যাচ্ছে, হালকা হাসি বিনিময় করছে — অফিসে কেউ কেউ খেয়াল করতেও শুরু করেছে।

একদিন মিটিং শেষে এমিলি ফিরে এসে দেখে, ডেস্কে রাখা তার প্রিয় চকোলেটের প্যাকেট, সাথে ছোট্ট নোট —

“তোমার আজকের মুখটা একটু ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। হাসিটা ফিরে আসুক — স্যাম :)”

হৃদয়টা যেন একটু লাফিয়ে ওঠে।

কিন্তু… এমিলির মনে কাঁটা হয়ে আছে আগের সম্পর্কের জটিলতা। দু’বছর আগে এক প্রেমে প্রতারিত হওয়া সেই কষ্ট, যেটা তাকে এখনো তাড়া করে।

"স্যাম যদি... সেরকম কেউ হয়?"

ভয় আর আকর্ষণের মাঝে দোল খেতে থাকে তার মন।


📍 অধ্যায় ৫: ফায়ার ড্রিলের দিন

অফিস বিল্ডিংয়ে হঠাৎ ফায়ার ড্রিল। সবাই নিচে নেমে এসেছে। ঠান্ডা হাওয়ায় এমিলি শীতল দাঁড়িয়ে।

স্যাম এসে পাশে দাঁড়িয়ে বলল, “হাত জমে যাচ্ছে তোমার। তুমি গ্লাভস আনোনি?”

এমিলি মাথা নাড়ল। স্যাম একটুও না ভেবে নিজের গ্লাভস খুলে এমিলির হাতে দিল।

— “আমার হাত গরম, অভ্যেস হয়ে গেছে। তুমি নাও।”

তাদের চোখ একসাথে ধরা পড়ে। সময় থেমে যায় যেন।

এক মুহূর্তের স্পর্শে, এক পৃথিবী কথা বলে ওঠে।


📍 অধ্যায় ৬: রুমের কোণে অপ্রকাশিত অনুভব

একদিন কাজ শেষে এমিলি হঠাৎ দেখে, স্যাম অফিসের এক কোণে বসে একা গান শুনছে। হেডফোনে “Can’t Help Falling In Love”। চোখে তার একটুকরো শূন্যতা।

এমিলি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “ভাল আছো?”

স্যাম একটু থেমে বলল, “আজ আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী।”

এমিলি চুপ করে স্যামের পাশে বসে থাকে। কোনো কথা নেই, শুধু পাশে থাকা — এইটুকুই অনেক।

সেই রাতেই, স্যাম প্রথম বলল, “তুমি আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে গেছো, এমিলি।”

এমিলি চুপ করে ছিল। কিন্তু তার চোখে তখন এক অদ্ভুত আলো — ভয়, আকাঙ্ক্ষা, আর প্রেমের জন্ম।


📍 অধ্যায় ৭: হৃদয়ের স্বীকারোক্তি

দিন যায়, রাত যায়। এমিলি আর স্যাম এখন একে অপরের ছায়া।

একদিন অফিস কনফারেন্সরুমে প্রেজেন্টেশনের পর, স্যাম এমিলিকে এক কোণে ডেকে নিল।

— “তুমি কি আমার সঙ্গে একদিন ডিনারে যাবে? অফিসের বাইরে… শুধু তুমি আর আমি?”

এমিলি একটু থমকে গেল।

তার ভিতরটা বলল, “হ্যাঁ।” কিন্তু ঠোঁট বলল, “আমি ভাবছি…”

স্যাম বলল, “ঠিক আছে। আমি অপেক্ষা করব।”

এমিলি বুঝে গেল, জীবন একবারই সুযোগ দেয়। আর ভালোবাসা — সেটা তো সব হিসেবের বাইরের কিছু।


📍 অধ্যায় ৮: প্রথম ডিনার, প্রথম স্বীকারোক্তি

ডিনারের দিন এল। স্যাম আর এমিলি একটি ছোট রেস্টুরেন্টে এসে বসে। আলো কম, সঙ্গীতটা রোমান্টিক। এমিলির মনে একটু কাঁপন। এটি তাদের প্রথম ডিনার একসাথে, তবে এটাই যেন তাদের সম্পর্কের নতুন মাইলফলক।

স্যাম টেবিলের ওপাশ থেকে তাকিয়ে বলল, “তোমার মুখে হাসি দেখতে ভালো লাগে।”

এমিলি একটু অস্বস্তি বোধ করল। “কিন্তু, স্যাম… আমরা কি প্রস্তুত?”

স্যাম একটু হাসল, “আমরা প্রস্তুত না হলেও, আমাদের উচিত ছিল এই পথটা একসাথে শুরু করা।”

এমিলির চোখে আবারও সেই একই দ্বন্দ্ব। কিছুটা দুরত্ব, কিছুটা আস্থাহীনতা। কিন্তু স্যাম এবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল—

— “আমি তোমাকে বিশ্বাস করি, এমিলি। আমার সঙ্গে থাকবে?”

এমিলি খানিকটা নরম হয়ে বলল, “আমিও তোমাকে বিশ্বাস করি, স্যাম।”

এত দিন পর, অবশেষে এমিলি বুঝতে পারল, কিছু সম্পর্ক সময়ের মধ্যে সজ্জিত হয়, আর কিছু সম্পর্ক এক মুহূর্তের জন্যই তৈরি হয়। স্যাম তার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ালো।


📍 অধ্যায় ৯: অফিসের সীমানা

তবে, তাদের সম্পর্কের পথ মসৃণ ছিল না। অফিসের অঙ্গনে যখন এমিলি আর স্যাম একে অপরের কাছে পৌঁছাতে শুরু করল, তখন কিছু সহকর্মী চোখে পড়তে শুরু করল। বিশেষ করে, জেসিকা — এমিলির পুরনো সহকর্মী এবং বন্ধু, যার মনে স্যামের প্রতি বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল।

একদিন জেসিকা এমিলিকে বলল, “তুমি স্যামের সাথে কিছু একটা শুরু করেছো?”

এমিলি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেল। “আমরা দুজনেই খুব ভালো বন্ধু।”

“তবে কেন এত শারীরিক ভাষা? আমি জানি, এমিলি। তুমি তাকে ভালোবাসো।”

এমিলি মাথা নিচু করল। “হয়তো আমি তাকে ভালোবাসি, কিন্তু…”

“কিন্তু?” জেসিকা প্রশ্ন করল।

“কিন্তু, আমাদের সম্পর্কটা তো অফিসের মধ্যে থাকা উচিত নয়,” এমিলি বলল, “আমরা যদি সম্পর্কের শুরুটা সঠিকভাবে না ভাবি, তবে সমস্যায় পড়বো।”

জেসিকা একটু চিন্তা করে বলল, “তবে তুমি জানো, কিছু সম্পর্ক যেমন সঠিক সময়ে আসে, তেমনি অন্যরা ভুল সময়ে চলে আসে।”

এমিলি চুপ করে রইল।


📍 অধ্যায় ১০: লুকানো অনুভূতি

একদিন অফিসের বাইরে, স্যাম এমিলিকে কফির জন্য ডাকল। তারা বসে কফি খাচ্ছিল, যখন স্যাম জানাল, “আমার মা খুব অসুস্থ, এমিলি। কিছু একটা করতে পারলেই ভালো হতো।”

এমিলি চিন্তিত হয়ে বলল, “আমি জানি, স্যাম। তুমি জানো, আমি এখানে আছি তোমার জন্য। তুমি যতটা শোকিত, আমি ততটাই… জানো, তুমি আমাকে পাশে চাও, তাই আমি আছি।”

স্যাম আবারও এমিলির দিকে তাকিয়ে বলল, “এমিলি, তুমি শুধু আমার ভালো বন্ধু নও, তুমি আমার পৃথিবী হয়ে উঠেছো।”

এমিলির চোখে একটু জল চলে এলো। স্যামের পাশে থাকার মাধ্যমে, তার হৃদয়ও যেন একটু একটু করে খুলে যাচ্ছিল।



📍 অধ্যায় ১১: উত্তপ্ত পরিস্থিতি

এমিলি ও স্যামের সম্পর্ক যেভাবে গতি পাচ্ছিল, অফিসের মাঝে তাদের একে অপরের প্রতি অনুভূতির গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এমিলির চোখে আর স্যামের হাত ধরার মুহূর্তগুলো, সবকিছুই ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু স্যাম জানত, তাদের সম্পর্কের কোনো এক সময়ে সীমারেখা টানতে হবে।

একদিন স্যাম বলল, “এমিলি, আমি জানি আমাদের সম্পর্ক সম্পর্কে অফিসে অনেক কথাই হচ্ছে।”

এমিলি একটু অবাক হয়ে স্যামের দিকে তাকাল। “কি বলছো তুমি?”

“কিছুদিন ধরে দেখছি, আমাদের সম্পর্ক নিয়ে অফিসের মধ্যে অনেক গুজব চলছে।” স্যাম বলল, “তুমি যদি ভাবো, কিছুটা দূরে থাকলে সব কিছু ঠিক থাকবে, তাহলে আমাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।”

এমিলি কিছু সময় চুপচাপ রইল। “আমি জানি, স্যাম। কিন্তু আমি তোমাকে একা যেতে দিতে চাই না। যদি তুমি আমার পাশে থেকেও হঠাৎ হারিয়ে যাও, আমি কি সেটা সহ্য করতে পারবো?”

স্যাম তার হাতে হাত রেখে বলল, “তুমি কখনোই একা থাকবেও না, এমিলি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি।”

এই কথাগুলো এমিলির হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে গেল। তাদের সম্পর্কের ভিত আরও শক্ত হতে শুরু করেছিল।


📍 অধ্যায় ১২: সত্যের মুখোমুখি

এমিলি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের ওপর কাজ করছিল। স্যামের সাহায্য ছাড়া, এই প্রজেক্টটি সম্ভব ছিল না। তারা একসাথে কাজ করছিল এমন এক সময়ে, এমিলি চুপচাপ স্যামের দিকে তাকিয়ে বলল, “স্যাম, তুমি জানো, আমি তোমার কাছে অনেক কিছু ঋণী।”

স্যাম এক পলক তাকিয়ে বলল, “যতটা তুমি মনে করো, ততটা নয়। আমাদের একে অপরের প্রয়োজন, এমিলি। কিন্তু এটা জানো, আমি যখন তোমার কাছে ছিলাম, তখনই সবটা ঠিক ছিল।”

এমিলি মাথা নিচু করে বলল, “তবে আমি কখনো চাচ্ছি না, আমাদের সম্পর্ক অফিসের বাইরে না চলে আসুক।”

স্যাম একটু ঠাণ্ডা হাওয়ার মতো অনুভূতি নিয়ে বলল, “এটা কি তোমার জন্য অতটা সহজ?”

এমিলি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। “না, কিন্তু আমরা একে অপরকে যতটা চিনলাম, ততটাই গভীর হতে পারি। কিন্তু অফিসের বাইরে?”

“অফিসের বাইরে আমরা কি হতে পারি, সেটা তো নির্ভর করবে আমাদের মনের উপর,” স্যাম উত্তর দিল।

তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইল, যেন দুজনেই কিছু বলার জন্য অপেক্ষা করছিল।


📍 অধ্যায় ১৩: বিপদজনক সীমানা

তাদের সম্পর্ক এখন নতুন এক পর্যায়ে চলে এসেছে। কিন্তু অফিসের মধ্যে এমিলি ও স্যামের সম্পর্ক নিয়ে কথা হচ্ছিল। একটি গুজব সবার কাছে পৌঁছাল যে, স্যাম আর এমিলি তাদের সম্পর্কটি অফিসের নিয়মকে লঙ্ঘন করছে। এমিলি প্রায় অস্থির হয়ে পড়ল, কারণ সে জানত, যদি এই পরিস্থিতি সামনে আসে, তাহলে তার ক্যারিয়ারে বড় ধরনের ঝুঁকি হতে পারে।

একদিন এমিলি স্যামকে বলল, “আমাদের সম্পর্ককে অফিসের বাইরে রাখতে হবে। আমরা কি একে অপরকে সম্মান করতে জানি?”

স্যাম কিছুক্ষণ চুপ থাকল। পরে সে বলল, “আমি জানি, কিন্তু জানো কি? আমি তোমাকে গুরুত্ব দেই। তুমি কি ভাবো, এর জন্য আমাদের দূরে সরে যেতে হবে?”

এমিলি মাথা নিচু করে বলল, “এখনো সেই মুহূর্তটি আসেনি, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সম্পর্কটা পেছনে ফেললে এবং নতুনভাবে শুরু করতে হবে।”

এমিলি আর স্যাম একে অপরের কাছাকাছি এসে দাঁড়াল। তাদের হৃদয় এখনো এক অন্যরকম শূন্যতায় পূর্ণ, কিন্তু তারা বুঝতে পারছে, সম্পর্কটির ভবিষ্যৎ তাদের হাতেই।


📍 অধ্যায় ১৪: সম্পর্কের নতুন শুরুর গল্প

এক সপ্তাহ পর, এমিলি আর স্যাম একে অপরকে নিয়ে অফিসের বাইরে সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল। তারা একটি পার্কে হেঁটে যাচ্ছিল, স্যাম বলল, “এমিলি, আমি জানি, আমাদের সম্পর্কটা সহজ নয়, কিন্তু তুমি আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কখনোই ভাববে না যে তোমাকে হারাতে চাই।”

এমিলি তার হাতে হাত রেখে বলল, “আমিও। কিন্তু আমরা যদি একে অপরকে সত্যিই ভালবাসি, তবে আমাদের সম্পর্ক যেন কোনো বাধা ছাড়াই বাড়ে।”

এমিলি আর স্যাম, এখনো কঠিন সব পরিস্থিতি অতিক্রম করার সিদ্ধান্ত নিয়ে, তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ে এক নতুন সূচনা করল।



📍 অধ্যায় ১৫: পরিবর্তন

এমিলি ও স্যামের সম্পর্ক এখন শুধুমাত্র অফিসের মাঝে নয়, বাইরের জগতেও ছড়িয়ে পড়েছে। স্যাম নিজের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছিল এবং এমিলি মাঝে মাঝে তার সাহায্য নিত। তাদের সম্পর্ক এক নতুন দিকে এগিয়ে চলছিল।

একদিন সকালে, স্যাম এমিলিকে একবার বলেছিল, "এমিলি, আমি জানি, আমাদের সম্পর্কটা কখনো সহজ ছিল না, কিন্তু তুমি সব সময় পাশে ছিলে। আমি চেয়েছি তোমাকে হারাতে না।"

এমিলি তার পাশে বসে বলল, "এখন আমরা একে অপরের পাশে, আমাদের সম্পর্ক যেন আরও গড়ে উঠুক।"

এমিলি আর স্যাম এখন বুঝতে পারছিল যে, তাদের সম্পর্কের জন্য কিছু সীমা থাকা উচিত। তারা দুজনেই জানত, এই সম্পর্ক কখনোই অফিসের বাইরে নেওয়া যাবে না, কিন্তু যে প্রতিজ্ঞা তারা একে অপরকে দিয়েছিল, সেটি ছিল অটুট।


📍 অধ্যায় ১৬: সিদ্ধান্তের সময়

এমিলি ও স্যামের সম্পর্কের জটিলতা এবং গুজবের মধ্যে, তারা বুঝতে পারল, তাদের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এসেছে। একটি বড় মিটিংয়ের পর, স্যাম বলল, “এমিলি, আমি জানি আমাদের সম্পর্কটা কঠিন হতে পারে, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ একে অপরের হাত ধরেই নির্ধারিত হবে। তুমি কি আমার সঙ্গে এগিয়ে যেতে চাও?”

এমিলি কিছুক্ষণ চুপ করে রইল, তারপর বলল, “স্যাম, আমি জানি, আমাদের সম্পর্ককে অনেকেই ভুলভাবে দেখবে, কিন্তু আমি চাই, আমরা একে অপরের পাশে থাকি, কিন্তু আমার ক্যারিয়ার এবং জীবনের সিদ্ধান্তগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই তুমি আমার পাশে থাকো, কিন্তু শুধু তোমার জন্য নয়, নিজের জন্যও।”

স্যাম তার হাতে হাত রেখে বলল, “তুমি যা বলো, সেটা আমি মেনে নেব। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যে যাই হোক না কেন, তুমি কখনো একা থাকবেনা।”

তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইল, যেন দুজনেই বুঝতে পারছে তাদের জীবনের নতুন পথের সূচনা হচ্ছে।


📍 অধ্যায় ১৭: একে অপরকে খুঁজে পাওয়া

এমিলি আর স্যামের সম্পর্কের মধ্যেই, তাদের দুজনেরই ক্যারিয়ারের সাফল্য পরবর্তী দিনগুলিতে অনেক দূর এগিয়ে গেল। কিন্তু সম্পর্কের গভীরতা তাদের মধ্যে নতুনভাবে দৃঢ় হয়েছিল। তারা দুজনেই জানত, একটি সম্পর্ক কখনোই একদিনে গড়ে উঠে না; একে অপরের জন্য আরও অনেক কিছু শিখতে হবে।

একদিন স্যাম এমিলির কাছে এসে বলল, “এমিলি, তুমি জানো, আমি কখনো ভাবিনি আমাদের সম্পর্ক এতটা শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এখন, আমি জানি, তুমি আমার জীবন সঙ্গী হতে পারো।”

এমিলি তার চোখে চোখ রেখে বলল, “স্যাম, আমি জানি, আমাদের সম্পর্ক সহজ নয়। কিন্তু আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। তোমার সাথে আমি যা অনুভব করি, সেটা সঠিক এবং সত্যি।”

এমিলি আর স্যাম একে অপরকে আলিঙ্গন করল, তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। জীবনের প্রতিটি বাধা, উত্থান-পতন, তাদের সম্পর্কের শক্তি আরো গভীর করে তুলেছিল।


📍 অধ্যায় ১৮: নতুন শুরুর প্রতিশ্রুতি

এক বছর পর, স্যাম এবং এমিলি বুঝতে পারল, তাদের সম্পর্ক এখন এক নতুন স্থানে পৌঁছেছে। তারা একে অপরকে সত্যিকারভাবে জানল, একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একদিন স্যাম বলল, “এমিলি, আমি জানি, আমরা একে অপরের জীবনে থাকতে পারি। তুমি আমার জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। আমি তোমাকে ভালোবাসি।”

এমিলি স্যামের হাত ধরে বলল, “স্যাম, আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সম্পর্ক কখনোই থামবে না। আমরা একে অপরের সঙ্গে, কখনোই হারিয়ে যাব না।”

তারপর তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে, একসাথে একটি নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুত হল। তাদের গল্প এখন শেষ হয়ে গেল, কিন্তু তাদের ভালোবাসা কখনোই শেষ হবে না। তারা দুজনেই জানত, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল একে অপরকে ভালোবাসা, এবং সেই ভালোবাসা ছাড়া তাদের জীবন অসম্পূর্ণ থাকত।

এভাবেই, এমিলি ও স্যামের অফিস রোমান্স এক নতুন অধ্যায়ে পৌঁছাল, যেখানে তারা একে অপরের পাশে থাকল, নিজেদের জন্য নতুন পথ তৈরি করল এবং জীবনকে নতুনভাবে গ্রহণ করল।


(শেষ)

মন্তব্যসমূহ