সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

অপ্রত্যাশিত প্রেম: দুই অচেনা হৃদয়ের গল্প

 অপ্রত্যাশিত প্রেম: দুই অচেনা হৃদয়ের গল্প

পর্ব ১: এক অজানা সাক্ষাৎ

নিউ ইয়র্কের এক ঠান্ডা শীতের সন্ধ্যা। চারদিকে সাদা বরফের চাদর, আর রাস্তার বাতিগুলো ঝলমল করছে। ইথান ওয়াকার, একজন ফ্রিল্যান্স লেখক, তার প্রিয় কফিশপের কোণের টেবিলে বসে লেখালেখিতে ডুবে ছিল। হঠাৎ করেই এক তরুণী দৌড়ে ঢুকে তার সামনে বসে পড়ল।

“আমি দুঃখিত! আমি একটু বসতে চাই,” মেয়েটি শ্বাসকষ্ট নিয়ে বলল।

ইথান তাকিয়ে থাকল, এমন হঠাৎ আগমনে অবাক হয়ে। “আচ্ছা, বসুন। আপনি ঠিক আছেন?”

“হ্যাঁ, শুধু একটা ভয়াবহ ব্লাইন্ড ডেট থেকে পালিয়ে এসেছি,” সে হাসল। “আমি অলিভিয়া ব্রুকস।”

ইথান হাসল, “আমি ইথান। তাহলে ডেটটা এতই খারাপ ছিল?”

“আমি বলব, আমার অন্তর্দৃষ্টি ঠিকই ছিল।”

এই ছোট্ট কথোপকথনই ছিল তাদের গল্পের শুরু।

পর্ব ২: এক বন্ধুত্বের শুরু

সেই রাতের পর ইথান ও অলিভিয়া বারবার কফিশপে দেখা করতে লাগল। ছোট ছোট কথোপকথন গাঢ় হতে লাগল। ইথান তার লেখার গল্প শেয়ার করত, আর অলিভিয়া তার ফটোগ্রাফির স্বপ্নের কথা বলত।

এক সন্ধ্যায় অলিভিয়া ইথানের দিকে তাকিয়ে বলল, “তুমি কি প্রেমে প্রথম দর্শনে বিশ্বাস করো?”

ইথান হাসল, “আমি গভীর সংযোগে বিশ্বাস করি। কিন্তু প্রেম? ওটা সময় নেয়।”

অলিভিয়া চোখ সরু করল, “তাহলে যদি দু’জন মানুষের ভাগ্যে একসাথে থাকার কথা লেখা থাকে?”

ইথান হেসে বলল, “তাহলে ভাগ্যই আমাদের এক করবে।”

তারা বুঝতেই পারেনি, ভাগ্য ইতিমধ্যেই তাদের পথ তৈরি করে দিয়েছে।

পর্ব ৩: অজানা অনুভূতি

ইথান অলিভিয়ার প্রতি ক্রমশ আকৃষ্ট হয়ে পড়ল। অলিভিয়াও ইথানকে অনুভব করতে লাগল। কিন্তু কেউই মুখ ফুটে কিছু বলার সাহস পেল না।

একদিন অলিভিয়া একটি ছবি দেখাল—এক দম্পতি শহরের আলোর নিচে হাত ধরে আছে। “আমি এই ছবি এক বছর আগে তুলেছিলাম। ওদের ভালোবাসাটা চোখে পড়ার মতো ছিল।”

ইথান মৃদু হেসে বলল, “আর এখন? তুমি কি বিশ্বাস করো?”

অলিভিয়া ধীরে বলল, “সম্ভবত।”

পর্ব ৪: প্রেমের স্বীকারোক্তি

নিউ ইয়ার্স ইভের রাত। শহরজুড়ে আনন্দ আর আতশবাজির উৎসব। ইথান আর অলিভিয়া ব্রুকলিন ব্রিজে দাঁড়িয়ে আকাশের আলো দেখছিল।

হঠাৎ ইথান বলল, “আমার কিছু বলার আছে।”

অলিভিয়ার হৃদয় দ্রুত ধুকপুক করছিল।

“আমি তোমার প্রেমে পড়েছি, অলিভিয়া।”

অলিভিয়ার চোখে পানি চলে এলো। “ইথান, আমি এতদিন বলার সাহস পাইনি, কিন্তু আমিও তোমাকে ভালোবাসি।”

আর সেই মুহূর্তেই, আতশবাজির আলোয়, তারা তাদের প্রথম চুম্বন করল।

পর্ব ৫: দূরত্বের কষ্ট

সুখ চিরস্থায়ী হয় না। অলিভিয়া প্যারিসে একটি স্বপ্নের চাকরির অফার পেল। কিন্তু এর মানে ইথানকে ছেড়ে যাওয়া।

“ইথান, আমরা কী করব?” সে অসহায়ভাবে জিজ্ঞাসা করল।

ইথান গভীর শ্বাস নিল। “তুমি যাবে। তোমার স্বপ্ন পূরণ করবে। আমি তোমাকে আটকাব না।”

“কিন্তু আমাদের কী হবে?”

ইথান মৃদু হেসে বলল, “ভালোবাসা মানে বাঁধন নয়, একে অপরকে সমর্থন করা। যদি আমাদের একসাথে থাকার কথা হয়, তবে আমরা ঠিকই এক হব।”

পর্ব ৬: ফিরে আসার গল্প

অলিভিয়া চলে গেল, আর দূরত্ব তাদের সম্পর্কের কঠিন পরীক্ষা নিল। তারা যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে গেল।

এক বছর পর, ইথান আবার সেই কফিশপে ঢুকল। আর অবাক হয়ে দেখল অলিভিয়া সেখানে বসে আছে, হাসছে।

“আমি ফিরে এসেছি,” সে বলল। “কারণ কোনো স্বপ্নই মূল্যবান নয় যদি সেটা তোমার সঙ্গে ভাগ করে নিতে না পারি।”

ইথান তার হাত ধরল, “তাহলে আসো, একসঙ্গে নতুন স্বপ্ন গড়ি।”

আর এভাবেই, সত্যিকারের ভালোবাসা তার ঠিকানা খুঁজে পেল।

(সমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ