সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

"এমন এক স্বপ্নে তুমি"

 

গল্পের নাম: "এমন এক স্বপ্নে তুমি"

📍 অধ্যায় ১: প্রথম সাক্ষাৎ

এক ঠান্ডা শীতের সকালে মঞ্চে উঠল নাথান কোলস — এক সফল, গম্ভীর কিন্তু সোজাসাপটা তরুণ। তার অফিস ছিল নিউ ইয়র্কের এক উঁচু বিল্ডিংয়ে, যেখানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গেই তার সম্পর্ক ছিল। নাথান কখনও ভাবেনি যে, তার জীবন ঘুরে যাবে এক তরুণী কলিগের কারণে— অ্যাম্বার জেনসেন

অ্যাম্বার একজন মেধাবী, স্বনির্ভর তরুণী, যিনি দিনরাত নিজের ক্যারিয়ার গড়তে লেগে থাকেন। নিজের দুনিয়ায় মগ্ন থাকলেও, যখনই সে নাথানকে দেখত, কিছু অদ্ভুত অনুভূতি তার মনের মধ্যে উদিত হতো। তবে, কখনও এ বিষয়ে কিছু বলেনি।

একদিন তাদের সাথের একটি প্রজেক্টে একসাথে কাজ করতে বলা হলো। সেই মুহূর্ত থেকেই শুরু হল তাদের মধ্যে সম্পর্কের অজানা এক দিকের সূচনা।


📍 অধ্যায় ২: সহকর্মী থেকে বন্ধু

নাথান আর অ্যাম্বার একে অপরের মধ্যে একটা অদৃশ্য আকর্ষণ অনুভব করছিলেন। তবে দুজনই নিজেদের মধ্যে সেটা প্রকাশ করতে চাইছিল না। কাজের মধ্যে তারা একে অপরকে আরো ভালোভাবে জানছিল, সহকর্মী থেকে তারা পরিণত হচ্ছিলেন বন্ধুর মতো।

একদিন অফিসের ক্যাফেটেরিয়াতে বসে নাথান বলেছিল,
"অ্যাম্বার, তোমার চোখে কিছু একটা আছে। তুমি যখন হেসে ওঠো, মনে হয় যেন পুরো পৃথিবী আলোকিত হয়ে ওঠে।"

অ্যাম্বার কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করেছিল, তবে সে কেবল হেসে বলল,
"তুমি কি সত্যিই এটা মনে করো?"

নাথান মাথা নেড়ে বলেছিল,
"হ্যাঁ, আমি সত্যিই মনে করি।"

এই মুহূর্তে তাদের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হতে শুরু করেছিল, কিন্তু তারা জানত, কাজের মাঝে ব্যক্তিগত সম্পর্ক জড়ানো কখনই সহজ নয়।


📍 অধ্যায় ৩: সম্পর্কের দ্বন্দ্ব

এমনি এক দিন যখন তারা একত্রে একটা বড় প্রজেক্ট শেষ করেছিল, নাথান বলল,
"আমরা তো একে অপরকে অনেক কিছু শিখিয়েছি।"

অ্যাম্বার হাসতে হাসতে বলেছিল,
"তুমি বলতে চাইছো, তুমি আমাকে শিখিয়েছো না, আমি তোমাকে শিখিয়েছি!"

নাথান হেসে বলেছিল,
"দ্বিতীয়টা সত্যি। কিন্তু তোমার পরামর্শ ছাড়া আমি এই প্রজেক্ট শেষ করতে পারতাম না।"

তবে, তাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছিল। দুজনই নিজেদের মধ্যে কিছু অনুভব করছিল, কিন্তু নিজেদের অজানা কারণে কেউ কিছু বলছিল না।


📍 অধ্যায় ৪: প্রথম চুম্বন

এক দিন অফিসে কাজ শেষে, নাথান আর অ্যাম্বার একসাথে কিছু সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিল। তারা মুভি দেখার জন্য বেরিয়ে গেল, যেখানে প্রথমবার তাদের অনুভূতি প্রকাশিত হলো। সিনেমার মধ্যেই, নাথান অ্যাম্বারের হাতটি নরমভাবে ধরেছিল, যা দুজনের মধ্যে একটি তীব্র সংকেত হয়ে উঠেছিল।

এতদিন যা চাপা ছিল, আজ তা এক ঝটকায় মুক্তি পেল। নাথান কাঁপা হাতে বলেছিল,
"অ্যাম্বার, আমি... আমি চাই তুমি জানো, আমি তোমার সাথে থাকতে চাই।"

অ্যাম্বার কিছু সময় চুপ থেকে বলেছিল,
"তুমি যদি তা চাই, তবে আমি প্রস্তুত।"

এবং সেই মুহূর্তেই তারা একে অপরকে প্রথম চুমু দিল।


📍 অধ্যায় ৫: সম্পর্কের নতুন শুরু

তারপর একে একে তাদের সম্পর্ক ফুলে উঠতে লাগল। দুজনই বুঝতে পারছিল, তাদের সম্পর্ক শুধু ভালোবাসা নয়, বরং একে অপরের সহযোগিতা, পারস্পরিক সম্মান এবং শ্রদ্ধার সম্পর্ক।

তবে অফিসের পরিবেশে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকলেও, সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। অফিসের সবাই জানত না তাদের সম্পর্কের কথা। কেউ কেউ তাদের সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল, আবার কেউ কেউ সেটিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু নাথান আর অ্যাম্বার, নিজেদের মধ্যে একটা শক্তিশালী বন্ধন অনুভব করছিল।


📍 অধ্যায় ৬: কর্মজীবন ও সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য

কিছুদিন পরে, অ্যাম্বার একটি বড় সুযোগ পেল, যেখানে তাকে অন্য একটি ব্রাঞ্চে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তাদের জন্য একটি পরীক্ষার মতো ছিল। তবে, দুজনই জানত— তাদের সম্পর্ক টিকে থাকবে, যদি তারা একে অপরকে সমর্থন করে এবং বিশ্বাস রাখে।

একদিন অ্যাম্বার বলল,
"এটা কঠিন হবে, নাথান। আমাদের মধ্যে এত কিছু হয়েছে, কিন্তু আমি জানি তুমি আমার পাশে থাকবে।"

নাথান তার হাত ধরে বলল,
"যতদূর যেতে হবে, আমি তোমার সাথে আছি।"


📍 অধ্যায় ৭: সুখী সমাপ্তি

শেষে, তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে। দুইজনই কর্মক্ষেত্রে সফল, তাদের সম্পর্কের জন্য তারা একে অপরকে পরিপূর্ণতা দেয়। অ্যাম্বার তার নতুন পদে সফল হয়, আর নাথান তার প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছায়। একদিন তারা একসাথে বসে নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকে।


শেষ পংক্তি:

"ভালোবাসা আসলে সেই জায়গা যেখানে দুই মানুষ একে অপরকে সাহসী করে তোলে, যেখানে তারা একে অপরের সঙ্গী হয়ে পৃথিবী জয় করার শক্তি পায়।"

মন্তব্যসমূহ