বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ভালোবাসার সংঘাত: এক নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প
ভালোবাসার সংঘাত: এক নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প
পর্ব ১: আকস্মিক সাক্ষাৎ
নীহারিকা আর আরমানের দেখা হয়েছিল এক সাহিত্য আড্ডায়। দু’জনেই বই পড়তে ভালোবাসত, লেখালেখিতেও পারদর্শী ছিল। প্রথম আলাপেই দুজনের মধ্যে একটা ভিন্ন ধরনের সংযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে, তারা জানত না যে এই সংযোগ একদিন প্রেমে রূপ নেবে এবং সমাজের কঠোর বাস্তবতার সামনে এক তীব্র পরীক্ষা দিতে হবে।
পর্ব ২: প্রেমের উন্মেষ ও পারিবারিক বিরোধ
সময় গড়িয়ে গেল, তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকল। একদিন আরমান সাহস করে বলে ফেলল, “নীহারিকা, আমি জানি না এটা কেমন করে বলব, কিন্তু আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি।”
নীহারিকা কিছুক্ষণ চুপ থেকে মৃদু হেসে বলল, “আমি অনেক দিন ধরেই অপেক্ষা করছিলাম তুমি কখন বলবে।”
কিন্তু তাদের প্রেম সহজ ছিল না। নীহারিকার পরিবার ছিল রক্ষণশীল, যারা বিশ্বাস করত সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী বিয়ে হওয়া উচিত। অন্যদিকে, আরমান ছিল এক সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে।
পর্ব ৩: সমাজের চোখে অন্যায়
নীহারিকার বাবা-মা তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “তোমার জন্য আমরা যোগ্য পাত্র খুঁজে রেখেছি, এই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কোনো প্রশ্নই আসে না।”
একইসঙ্গে সমাজও তাদের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করল। নীহারিকার আত্মীয়রা কটু কথা বলা শুরু করল, তাদের পরিবারকে অসম্মান করতে লাগল।
পর্ব ৪: পালানোর পরিকল্পনা
আরমান আর নীহারিকা সিদ্ধান্ত নিল পালিয়ে যাবে। তারা চেয়েছিল একসঙ্গে নতুন জীবন শুরু করতে, যেখানে ভালোবাসাই হবে একমাত্র ভিত্তি। কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ ছিল না।
যেদিন পালানোর সিদ্ধান্ত নিল, সেদিনই নীহারিকার বাবা টের পেয়ে গেলেন। তিনি নীহারিকাকে ঘরে আটকে রাখলেন, তার ফোন কেড়ে নিলেন।
আরমান অপেক্ষা করছিল নির্ধারিত জায়গায়, কিন্তু নীহারিকা আর এল না।
পর্ব ৫: কঠিন পরিণতি
নীহারিকার বিয়ে হয়ে গেল এক ধনী ব্যবসায়ীর ছেলের সঙ্গে। সে বিদায়ের আগে একটা চিঠি রেখে গেল—
“ভালোবাসা মানে সব সময় একসঙ্গে থাকা নয়। আমি তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু আমাদের ভাগ্যে একসঙ্গে থাকা নেই।”
আরমান সেই চিঠি হাতে নিয়ে কেঁদেছিল, কিন্তু কিছুই করার ছিল না।
পর্ব ৬: ভাগ্যের নতুন মোড়
বছর পেরিয়ে গেল। একদিন হঠাৎ এক কফিশপে নীহারিকা আর আরমানের দেখা হয়ে গেল। নীহারিকার চোখে এক ধরনের দুঃখের ছায়া ছিল, আর আরমানের চোখে ছিল হাজারো না বলা কথা।
তারা কি এবার সমাজের বিরুদ্ধে লড়বে? নাকি ভালোবাসা সত্যিই সবসময় পরিণতি পায় না?
পর্ব ৭: পুরোনো প্রেমের নতুন পরীক্ষা
নীহারিকা জানতে পারল, আরমান এখন একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক। তার লেখা গল্পগুলোতে যেন তাদের সম্পর্কের ছায়া দেখা যায়। নীহারিকা আরমানের লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারে, সে এখনো তাকে ভুলতে পারেনি।
একদিন সাহস করে নীহারিকা আরমানকে ফোন করল। দীর্ঘ সময় পর প্রথমবার কথা বলার সময় দুজনেই চুপচাপ ছিল, যেন হাজারো আবেগ একসঙ্গে আটকে আছে। নীহারিকা শুধু একটাই প্রশ্ন করল, “তুমি কি এখনো ভালোবাসো?”
আরমান গভীর নিশ্বাস নিয়ে বলল, “ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না, নীহারিকা। শুধু পরিস্থিতি আমাদের আলাদা করে দেয়।”
পর্ব ৮: সামাজিক চাপ ও বাস্তবতা
নীহারিকার বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। তার স্বামী ব্যস্ত ব্যবসায়ী, যার কাছে সময়ের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি। সে অনুভব করছিল, তার জীবনটা যেন বন্ধনহীন এক খাঁচা হয়ে গেছে।
একদিন নীহারিকার স্বামী তার পুরোনো ডায়েরি খুঁজে পেল, যেখানে আরমানের কথা লেখা ছিল। সে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল এবং নীহারিকার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতে লাগল। পারিবারিক কলহ তীব্র হয়ে উঠল।
পর্ব ৯: পুনর্মিলন নাকি বিচ্ছেদ?
নীহারিকা সিদ্ধান্ত নিল, সে আর অন্যের নিয়মে জীবন কাটাবে না। সে তার স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। সমাজের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে সে নিজের ভালোবাসাকে আবার খুঁজতে চাইছিল।
কিন্তু আরমান কি তাকে গ্রহণ করবে? নাকি তাদের ভালোবাসা আবারও অসমাপ্ত রয়ে যাবে?
পর্ব ১০: শেষ সিদ্ধান্ত
এক সন্ধ্যায় আরমানের দরজায় কড়া নাড়ল নীহারিকা। আরমান দরজা খুলে তাকে দেখে হতবাক হয়ে গেল। নীহারিকার চোখে জল ছিল, কিন্তু মুখে ছিল এক অনড় দৃঢ়তা।
“আমি পালিয়ে আসিনি, আরমান। আমি নিজের ভালোবাসার জন্য লড়তে এসেছি,” বলল নীহারিকা।
আরমান কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, “তুমি কি নিশ্চিত?”
নীহারিকা মাথা নাড়ল। “আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি, অনেক ত্যাগ করেছি। এবার আমাদের নিজেদের জন্য বাঁচতে হবে।”
আরমান নীহারিকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। নীহারিকা তার হাত ধরল।
পরিশিষ্ট: নতুন সূচনা
নীহারিকা আর আরমান সমাজের বাধা, পারিবারিক চাপ, এবং নিজের ভয়ের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিল। তারা জানত, জীবন সহজ হবে না, কিন্তু তারা একসঙ্গে থাকলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।
প্রেম সবসময় সহজ হয় না, কিন্তু যদি সত্যিকারের হয়, তাহলে সব বাধাকে অতিক্রম করার সাহস দেয়।
শেষ।
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
নিজের ব্লগে ই-কমার্স ফিচার যুক্ত করার উপায় (প্রোডাক্ট বিক্রি করুন সরাসরি ব্লগ থেকেই)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
Google Sites দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করুন (Step by Step বাংলা গাইড ২০২৫)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন