সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

নিষিদ্ধ প্রেম: এক অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

 নিষিদ্ধ প্রেম: এক অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প

পর্ব ১: প্রথম দেখা

তানভীর আর আয়েশার প্রথম দেখা হয়েছিল এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। আয়েশা ছিল ধনী ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে, আর তানভীর ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাধারণ ছেলে। প্রথম দেখাতেই তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত আকর্ষণ জন্ম নেয়। আয়েশার সরল হাসি আর বুদ্ধিদীপ্ত চোখ তানভীরকে মুগ্ধ করেছিল, আর তানভীরের আত্মবিশ্বাসী অথচ বিনয়ী স্বভাব আয়েশাকে অনন্যভাবে আকর্ষণ করেছিল।

কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বন্ধুত্ব গভীর হতে থাকে। তারা প্রতিদিন কথা বলত, দেখা করত, একসঙ্গে স্বপ্ন বুনত। কিন্তু তারা জানত, এই সম্পর্ক সহজ হবে না। আয়েশার পরিবার ছিল প্রভাবশালী এবং খুব রক্ষণশীল।

পর্ব ২: প্রেমের শুরু ও পারিবারিক বাধা

তাদের সম্পর্ক যখন প্রেমে রূপ নিল, তখনই প্রথম বাঁধার সৃষ্টি হলো। আয়েশার পরিবার জানতে পেরে কড়া ভাষায় জানিয়ে দিল, এই সম্পর্ক মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আয়েশার বাবা হুমকি দিয়ে বললেন, “তোমার জীবন আমরা সাজিয়েছি, তুমি আমাদের সিদ্ধান্ত মানতেই হবে!”

তানভীর আয়েশাকে বোঝাতে চাইল, “আমরা চাইলে সব বাধা পেরিয়ে যেতে পারব। আমাদের ভালোবাসা কি এতটাই দুর্বল?”

কিন্তু আয়েশা জানত, পরিবারকে উপেক্ষা করা তার জন্য সহজ নয়।

পর্ব ৩: সমাজের চোখ রাঙানি

শুধু পরিবারই নয়, সমাজও তাদের প্রেমকে সহজভাবে নেয়নি। আয়েশার আত্মীয়রা তাকে কটাক্ষ করত, তার চরিত্র নিয়ে কথা তুলত। তানভীরের পরিবারও চাপের মুখে ছিল, কারণ তারা জানত, এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

একদিন আয়েশার বাবা ঘোষণা দিলেন, “তোমার জন্য ইতোমধ্যে এক ভালো পাত্র ঠিক করে ফেলেছি। তুমি এক মাসের মধ্যে বিয়ে করবে, এটাই চূড়ান্ত।”

আয়েশার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। সে কি করবে?

পর্ব ৪: পালানোর সিদ্ধান্ত

তানভীর ও আয়েশা পালানোর সিদ্ধান্ত নিল। তারা ভেবেছিল, দূরে কোথাও গিয়ে নিজেদের মতো জীবন শুরু করবে। কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ ছিল না। পরিবার এবং সমাজের চোখ এড়িয়ে পালানো সহজ কাজ নয়।

যেদিন পালানোর দিন ঠিক হলো, সেদিনই আয়েশার পরিবার টের পেয়ে গেল। আয়েশাকে ঘরে আটকে রাখা হলো, তার ফোন কেড়ে নেওয়া হলো। তানভীর অপেক্ষা করছিল স্টেশনে, কিন্তু আয়েশা আর এল না।

পর্ব ৫: কঠিন পরিণতি

কয়েকদিন পর আয়েশার বিয়ে হয়ে গেল। তানভীর দূর থেকে দেখল, তার ভালোবাসা অন্য কারও সঙ্গে সংসার বাঁধছে। আয়েশা শেষ মুহূর্তে এক টুকরো কাগজে লিখে পাঠিয়েছিল—

“ভালোবাসা মানেই শুধু পাওয়া নয়, অনেক সময় ভালোবাসাকে ত্যাগ করতে হয়। তুমি ভালো থেকো, তানভীর।”

তানভীর সেই চিঠি হাতে নিয়ে কেঁদেছিল, কিন্তু কিছুই করার ছিল না। আয়েশা বাস্তবতাকে মেনে নিয়েছিল, আর তানভীর শিখেছিল, ভালোবাসা সবসময় জয়ী হয় না।

(সমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ