সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

শাকচুন্নি প্রেমিকা: এক অদ্ভুত প্রেমের কাহিনি

 শাকচুন্নি প্রেমিকা: এক অদ্ভুত প্রেমের কাহিনি

পর্ব ১: রাতের রহস্যময়ী

রাত তখন ১২টা বাজে। চারদিক নিস্তব্ধ। গ্রামের একমাত্র চায়ের দোকানে বসে ছিল রাজিব। দোকানের মালিক কুদ্দুস চাচা এক হাত দিয়ে চায়ের গ্লাস ধুতে ধুতে বললেন,

  • “রাজিব, এই সময়ে এত একা একা কী করস?”

  • “চাচা, আমি তো রাতে থাকতে ভালোবাসি। আর কাহিনি লিখতে গেলে এই নির্জনতা লাগে।”

কুদ্দুস চাচা মাথা নাড়লেন, “এই নির্জনতার মধ্যে কাহিনি লিখবি নাকি ভূতের খপ্পরে পড়বি, দেখিস!”

রাজিব হেসে উড়িয়ে দিল। কিন্তু ঠিক তখনই, রাস্তার মোড় থেকে একটা মেয়ের আবছা ছায়া দেখা গেল। সে ধীরে ধীরে রাজিবের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল।

পর্ব ২: অদ্ভুত প্রথম দেখা

রাজিব প্রথমে ভাবল, মেয়েটা হয়তো গ্রামের কেউ হবে। কিন্তু একটু খেয়াল করতেই বুঝতে পারল, তার চেহারাটা অদ্ভুতভাবে সুন্দর, যেন অন্য জগৎ থেকে এসেছে। মেয়েটা ধীরে ধীরে এসে রাজিবের পাশে বসল।

  • “তুমি লেখক?”

  • “হ্যাঁ, তুমি কে?”

  • “আমি... তুমি কি ভূত বিশ্বাস করো?”

রাজিব হেসে বলল, “ভূত-টুত কিছু হয় নাকি!”

মেয়েটা হালকা হাসল, “তাহলে চলো, প্রমাণ দেই!”

পর্ব ৩: প্রেম, না ভয়?

এরপর থেকে প্রতিদিন রাত ১২টায় সেই মেয়েটি আসতে লাগল। রাজিব বুঝতে পারল, সে সাধারণ মেয়ে নয়। এক রাতে মেয়েটি রাজিবকে বলল,

  • “আমার নাম রুবি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।”

রাজিবের মনে দ্বিধা—এটা কি সত্যিকারের প্রেম, নাকি কোনো অলৌকিক ফাঁদ?

পর্ব ৪: গ্রামের গুঞ্জন

গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ল, “রাজিব নাকি এক শাকচুন্নির প্রেমে পড়েছে!”

বন্ধুরা রাজিবকে সাবধান করল, “ভাই, ভালো করে দেখ, রুবি কি আসলেই মানুষ?”

রাজিব এখন দোটানায়। সে কী করবে? পালাবে, নাকি এই রহস্যময় প্রেমকে সত্যিকারের ভালোবাসায় রূপ দেবে?

পর্ব ৫: কুদ্দুস চাচার রহস্য

একদিন রাজিব কুদ্দুস চাচাকে সব বলল। চাচা শোনার পর গভীরভাবে চিন্তা করলেন।

  • “এই রুবির গল্পটা আমি আগেও শুনেছি... বছর বিশেক আগে এক মেয়েকে ভালোবেসে এক যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল!”

রাজিব অবাক, “মানে?”

চাচা বললেন, “লোকেরা বলে, সেই যুবক মারা যাওয়ার পর থেকে এই মেয়েটিকে রাতের বেলা দেখা যায়। কিন্তু কেউ নিশ্চিত না, সে ভূত নাকি মানুষ।”

রাজিবের মনে দ্বিধা আরও বেড়ে গেল।

পর্ব ৬: সাহসী সিদ্ধান্ত

একদিন রাত ১২টায় রাজিব ঠিক করল, রুবিকে সে সত্যিটা জিজ্ঞেস করবেই।

  • “রুবি, তুমি কি সত্যি মানুষ?”

  • “তুমি কী মনে কর?”

  • “আমি জানি না! কিন্তু আমার মন বলে, তুমি আসলেই...”

এরপর হঠাৎ ঝড় শুরু হলো। বাতাসে উড়তে থাকা ধুলোয় রুবির চেহারা কিছুটা ঝাপসা হয়ে গেল।

পর্ব ৭: প্রেম না প্রতারণা?

গ্রামের কিছু লোক ঠিক করল, তারা একদিন রাতের বেলা রাজিবকে অনুসরণ করবে। তারা দূর থেকে দেখল, রাজিব কারও সঙ্গে কথা বলছে, কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই!

পরদিন সকালে গ্রামের মুরুব্বিরা সিদ্ধান্ত নিল, রাজিবকে এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।

পর্ব ৮: সত্য উদ্ঘাটন

তান্ত্রিক বললেন, “এই মেয়ে সত্যিই এখানে ছিল, কিন্তু বছর বিশেক আগে! এখন সে এক রহস্যময় অস্তিত্ব।”

রাজিবের মাথা ঘুরতে লাগল। সে কী করবে? সে কি এই ভালোবাসাকে গ্রহণ করবে, নাকি বাস্তব জীবনে ফিরে যাবে?

পর্ব ৯: চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

রাজিব এক রাতে রুবিকে বলল,

  • “তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তবে আমাকে একবার আমার পরিবার আর বন্ধুদের সামনে দেখা দাও!”

রুবি চুপ করে রইল। তারপর বলল,

  • “আমি পারব না...”

রাজিব বুঝতে পারল, এই প্রেম কখনোই বাস্তবে পরিণতি পাবে না।

পর্ব ১০: একাকী যাত্রা

সেই রাতের পর রুবিকে আর কখনো দেখা যায়নি। রাজিব অনেক চেষ্টা করেও তার সন্ধান পায়নি। কিন্তু সে বুঝতে পেরেছিল, কিছু ভালোবাসা শুধুই এক অদ্ভুত রহস্য হয়ে থেকে যায়...

(সমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ