সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

শূন্যতার পথচলা

 শূন্যতার পথচলা

অধ্যায় ১: অন্ধকারের কোলে জন্ম

ঢাকার ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাতে জন্ম নেওয়া রাসেল জানে না বাবা-মা কারা। ছোটবেলায় এক ভিক্ষুক মহিলার কাছে মানুষ হয়েছে, কিন্তু তার জীবন ছিল শুধুই অনিশ্চয়তার মধ্যে ভরা। প্রতিদিনের সংগ্রাম তার কাছে নতুন কিছু নয়। সে জানে ক্ষুধার যন্ত্রণা, জানে সমাজের অবহেলা, জানে বেঁচে থাকার কঠিন লড়াই।

অধ্যায় ২: ক্ষুধার্ত স্বপ্ন

রাসেল বড় হতে থাকে ঢাকার রাস্তায় ঘুরে ঘুরে। কখনো আবর্জনার স্তূপ থেকে খাবার খুঁজে, কখনো ফুটপাতে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু তার মনে একটাই স্বপ্ন—সে একদিন স্কুলে যাবে, পড়াশোনা করবে। তার চোখের সামনে স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের দেখে সে কল্পনায় ভাসে, যদি সেও একদিন বই হাতে নিতে পারত!

অধ্যায় ৩: বন্ধুত্ব ও সংগ্রাম

রাস্তার আরেক শিশু মিম, যে রাসেলের চেয়ে বয়সে ছোট, কিন্তু তার সাহস অনেক বেশি। রাসেল আর মিম একসঙ্গে পথের জীবন পার করে। তারা দুজন একসঙ্গে আবর্জনা ঘেঁটে খাবার খোঁজে, কখনো মানুষের কাছে সাহায্য চায়, কখনো ছোটখাটো কাজ করে পেট চালায়।

অধ্যায় ৪: একদিনের আলো

একদিন রাসেল আর মিমের দেখা হয় রিয়াদ ভাইয়ের সাথে, যিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য। তিনি শিশুদের পড়াশোনা শেখান এবং তাদের পথ দেখান। রিয়াদ ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় রাসেল আর মিম প্রথমবারের মতো বই হাতে নেয়। নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তারা।

অধ্যায় ৫: নতুন জীবনের পথচলা

শিক্ষার আলো ধীরে ধীরে রাসেলের জীবন বদলে দেয়। সে পড়াশোনা শেখে, কাজ শেখে এবং একদিন সিদ্ধান্ত নেয়, সে আর কোনো পথশিশুকে অবহেলিত হতে দেবে না। রাসেল নিজেই একটি পথশিশু সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলে, যেখানে মিমসহ আরো অনেক পথশিশু নতুন জীবন শুরু করে।

উপসংহার: স্বপ্ন কখনো মরে না

রাসেলের জীবন প্রমাণ করে, সুযোগ পেলে কেউই পিছিয়ে থাকে না। একসময়ের পথশিশু রাসেল আজ পথশিশুদের আশার আলো। তার গল্প আমাদের শেখায়, সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য আমাদের সকলেরই কিছু করা উচিত। তাদের স্বপ্ন দেখার অধিকার আছে, আর আমরা যদি একটু সহায়তা করি, তাহলে তাদের জীবনও বদলে যেতে পারে।

মন্তব্যসমূহ