বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
"বাস্তবের ছায়া"
গল্পের নাম: "বাস্তবের ছায়া"
গ্রামের মাঝে একটা ছোট্ট বাড়ি, একটা ছোট্ট পরিবার। জামাল এবং তার বাবা, মা, এক বডো গ্রামের মধ্যে থাকতো। তাদের জীবন ছোট ছোট গল্প দিয়ে ভরা, কিন্তু সেগুলোর মধ্যে ছিল দারিদ্র্যতা, প্রেম, এবং বাস্তবতার এক অদ্ভুত মিশ্রণ। জামাল ছোট থেকেই শিখেছিল, যে গ্রামে যদি দারিদ্র্যতা থাকে, তাহলে প্রেমও কোথাও সহজভাবে আসে না। কিন্তু, যদি এই প্রেমটা ঠিকমতো ঘরে ঢুকতে চায়, তাহলে তাকে বাস্তবতার ছায়া ধরে রাখতে হবে।
বাস্তবের শুরু আগুনের মতো:
গ্রামের ছোট গলিতে জামালের ছোট বাড়ির মধ্যে বাস্তবতার প্রথম শিক্ষা হয়েছিল। বড় লোকেরা যদি শহর থেকে এসে দেখে, তারা সকাল সন্ধ্যায় থাকলেও বুঝতে পারবে, এই গলির মধ্যে সব কিছু ছিল, একটা বড় কথা—“দারিদ্র্যতা”। গ্রাম ছোট, কিন্তু সব কিছু ঠিকমতো চলত। জামালের বাবা, একজন শ্রমিক, রাতদিন কাজ করতো, কিন্তু তার পরিবারে দারিদ্র্যতা একটা বড় প্রশ্ন ছিল। তার মা, সেই ছোট গলির মধ্যে থাকার পর, গ্রামের বড় গল্প ছিল, যা সবার মধ্যে নতুন—এই গল্পের মধ্যে ছিল সেই বড় সহজ প্রেম।
জামাল একদিন দেখেছিল, বাবা তার কাছে এসে একটা ছবি দেখায়, “এই ছবি তে আমাদের পুরোনো, শরীরের সহজত্ব, কিছু বড় ছবি আছে। সেই ছবি আমার কাছে থাকবে, এখন তোমার কাছে থাকবে।” জামাল একদিন সেই ছবি দেখতে পায়, কিন্তু সেই ছবি তো প্রেমের ছায়া থেকে উঠে এসে যায়, জামাল তার প্রেমকে প্রতিবেশীর মধ্যে নিয়ে আসে।
প্রেম, আবেগ, বাস্তবের জন্য
জামাল তার প্রেমকে বড় সঞ্চয় করতে চায়, কিন্তু সেই ছবির মধ্যে কিছু আবেগ ছিল, যা দেখে, সেই আবেগ থাকলে বাস্তবতার দরকার হয়ে ওঠে। জামাল এই আবেগকে অনেক দিন ধরে খুঁজে বেরায়, কিন্তু সেই ছবির মধ্যে থাকা বড় প্রথম পদ্ধতির মধ্যে সব কিছু ছিল, সেই পদ্ধতির মধ্যে, প্রেম কিন্তু সব সময় বাস্তবতার ছায়া ছিল। তারপর সেই প্রেমের ছায়াকে মাঝে মাঝে ঘুরে দেখে আপনি সেই মধ্যে বাস্তবতার সব কিছু দেখতে চান।
গল্পের নাম: "বাস্তবের ছায়া" (অংশ ২)
গ্রামের জীবন, যেখানে এক এক করে প্রতিটি দিন বয়ে চলে, সেখানে প্রতিটি মুহূর্তে কিছু কিছু স্বপ্নও জাগে, কিছু কিছু আশা মিশে যায়। জামালও সেইসব আশা ও স্বপ্নের মাঝে নিজেকে খুঁজে পেতে চায়। সে জানে, যতই তাকে দারিদ্র্যতার মাঝে পথ চলতে হোক, ততই তার ভিতরে এক অদৃশ্য শক্তি তৈরি হচ্ছে, যা তাকে একদিন এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। জামাল বুঝতে পারে, প্রেম, আবেগ, এবং বাস্তবতার মাঝেই এক অমলিন সত্ত্বা লুকিয়ে থাকে, যা তাকে জীবনকে নতুন করে দেখানোর শক্তি দেয়।
বাবার কঠিন পরিশ্রম ও আশা
জামালের বাবা তার জীবনের প্রতিটি দিন নিজের শ্রমে কাটিয়ে দেয়। সে জানে, তার জীবনে কোনো সহজ পথ নেই। কষ্টে কাটানো দিনগুলো শুধুমাত্র তার নিজের সন্তানের জন্য, তার পরিবারের ভালো থাকার জন্য। জামালের বাবা খুবই সাধারণ একজন মানুষ, কিন্তু তার মধ্যে ছিল এক বিশেষ শক্তি—একটি অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাসটাই তাকে প্রতিদিন সকাল বেলায় তার খেটেখাওয়া জীবন চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। জামাল তার বাবার এই কঠিন পরিশ্রমকে দেখে, বুঝতে পারে যে সত্যিকার অর্থে ভালো থাকার জন্য শুধু ভাগ্য নয়, বরং কঠোর পরিশ্রম এবং মনোবলের প্রয়োজন।
একদিন জামালের বাবা, যখন একদম ক্লান্ত, তার কাজ থেকে ফিরে আসে, জামাল তাকে প্রশ্ন করে, “বাবা, কেন তুমি এভাবে কঠোর পরিশ্রম করছো? আমাদের তো আর অনেক কিছু প্রয়োজন নেই, শুধু একটু শান্তি।” বাবা মৃদু হেসে বলেন, “শান্তি, ছেলে, সব জায়গাতেই পাওয়া যায়, তবে তা আসে পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। আমরা যে শান্তি চাই, তা আসবে একদিন, তবে সে শান্তি যদি তুমি পরিশ্রমের ফল হিসেবে পাও, তা হলে তা আরো মূল্যবান হবে।” জামাল তখন বাবার কথা শুনে নিশ্চুপ হয়ে যায়, তার মনে হয়, বাবার ভাষায় আসলেই একটা দারুণ শক্তি লুকিয়ে রয়েছে, যা তাকে এই দুঃখ-কষ্টের জীবনের মধ্যেও এক নতুন দিশা দেখায়।
জামালের প্রেমের শুরু
গ্রামের বাইরে বসবাসরত এক মেয়ে, রূপালি, জামালের ভালোবাসার প্রথম অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে। রূপালি শহরের মেয়ে, যার জীবন শহরের বিলাসিতা আর সুযোগ সুবিধায় ভরা। জামাল তাকে প্রথম দেখে গ্রামের পুকুর পাড়ে, যখন সে পানি নিতে আসে। রূপালির চোখের মধ্যে একটা অদ্ভুত আলো ছিল, যা জামালের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছিল। জামাল ভাবতে থাকে, “এই মেয়ে কি জানে, তার চোখে যে সৌন্দর্য আছেঃ সেটি শুধু বাইরের সৌন্দর্য নয়, এটি এক গভীর অনুভূতির প্রকাশ।” জামাল বুঝতে পারে, তার জীবনেও কিছুটা আলোর ছোঁয়া লাগে, যেটি তাকে তার দুঃখের দিক থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাবে।
রূপালি জানতো না যে, গ্রামে এক দারিদ্র্যতার মধ্যে বসবাস করা জামাল তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। কিন্তু সে যখন জামালের চোখে তাকিয়ে দেখেছিল, তখন সে বুঝতে পারে যে জামাল একটি ভিন্ন পৃথিবী থেকে এসেছে, একটি পৃথিবী যেখানে আশা আর ভালোবাসা বেঁচে থাকার মূল শক্তি। জামাল এবং রূপালি একে অপরকে গভীরভাবে বুঝতে শুরু করে, এবং এই বোঝাপড়াই তাদের মধ্যে এক নতুন প্রেমের সূচনা করে।
আবেগের ছায়া
জামাল যখন রূপালির সাথে সময় কাটাতে থাকে, তখন তার মধ্যে এক ধরনের আবেগ তৈরি হয়। সে বুঝতে পারে, যে প্রেম সে অনুভব করছে, তা শুধুমাত্র এক স্বপ্ন নয়, এটি বাস্তব। কিন্তু একদিকে জামাল জানতো, এই প্রেমের পেছনে কোনো এক কঠিন বাস্তবতা আছে, যার সাথে তাকে যুদ্ধ করতে হবে। রূপালি শহরের মেয়ে, তার কাছে প্রেম শুধুমাত্র মিষ্টি কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু জামাল জানতো, তাকে সেই প্রেমকে বাস্তবতার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে, যেন তাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র আবেগ নয়, বরং এক ধরনের বাস্তবতার চিত্র হয়।
গ্রামের প্রতিটি দিন, জামাল রূপালির সাথে কাটানো সময়গুলো মনে রেখে তার জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবিলা করতে থাকে। সে জানতো, তার বাবা, মা, এবং গোটা পরিবারকে নিয়ে তাকে অনেক সংগ্রাম করতে হবে। তবে রূপালি তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সাহায্য করেছিল, এক ধরনের শান্তি দিয়েছিল, যা তাকে তার জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো পার করতে সহায়তা করেছিল।
গল্পের নাম: "বাস্তবের ছায়া" (অংশ ৩)
জামাল জানতো, তার জীবন কোনও রূপকথার মতো সহজ হবে না। দারিদ্র্যতা, কঠিন বাস্তবতা, আর প্রেমের মিশ্রণে তাকে সব কিছু মেনে নিয়েই চলতে হবে। রূপালির সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত তার জীবনে এক নতুন অধ্যায় হয়ে ওঠে, কিন্তু জানতো সে, একসময় তাকে ফিরে যেতে হবে তার আসল পৃথিবীতে—দারিদ্র্যের মাঝে। সেই চিত্রটি তার মনে ছিল, এবং তার সঙ্গে সেই প্রেমের ছায়া ছিল, যা সব সময় তাকে শক্তি দিয়েছে।
জীবনের কঠিন সত্য
একদিন জামাল ও রূপালি হাটা পথে হাঁটছিল। তাদের সামনে ছিল বড় মাঠ, এবং দূরে একটা ছোট্ট পাহাড় দেখা যাচ্ছিল। জামাল জানতে চায়, “রূপালি, তুমি জানো, এই গ্রামে আসার পর আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি জানি, প্রেম কিছুই নয়, যদি না সেটা বাস্তবতার সঙ্গে মিশে না থাকে।” রূপালি তার দিকে তাকিয়ে বললো, “আমি জানি জামাল, তোমার জীবনে অনেক কঠিন সময় এসেছে। আমি জানি তোমার পৃথিবী অনেক কঠিন। তবে আমি জানি, প্রেম শুধু ভালোবাসার বিষয় নয়, এটা আত্মবিশ্বাস এবং সাহসেরও বিষয়।”
রূপালির কথাগুলো জামালের মনে গভীরভাবে গেঁথে গেল। সে বুঝতে পারলো, প্রেম শুধু মন থেকে মন মিলানোর বিষয় নয়, বরং এটি মানুষের জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়ানোর শক্তি দেয়। জীবন যেখানে অন্ধকার, সেখানেও প্রেমের আলো থাকতে পারে।
পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা
জামালের মায়ের কথা মনে পড়ল। তার মা একদিন বলেছিল, “জামাল, এই পৃথিবীতে তোমার নিজের কষ্ট কখনো কাউকে দেখানো উচিত নয়। কিন্তু সেটা যখন তোমার আত্মবিশ্বাসের শক্তি হয়ে দাঁড়াবে, তখন তুমি যে কোন কিছুর মধ্যে শান্তি খুঁজে পাবে। আমি জানি, তুমি জীবনের কোনো না কোনো সময় বড় কিছু করতে পারবে।”
জামাল তার মায়ের কথা মনের মধ্যে রাখল, এবং মনে মনে শপথ নিল, যে কোনো পরিস্থিতিতেই সে তার পরিবারের জন্য কিছু করবে। তার বাবা, মা, ছোট ভাইবোনদের জন্য সে একদিন এমন কিছু করবে, যাতে তার পরিবারকে আর কখনো দারিদ্র্যতার শিকার হতে না হয়।
রূপালির সংগ্রাম
রূপালি জানতো, জামাল তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ এবং প্রেরণা। কিন্তু তার নিজেরও কিছু সংগ্রাম ছিল। শহরের মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও, রূপালি সব সময় শিখত, কিভাবে তার জীবনকে ভালোর দিকে নিয়ে যেতে হবে। গ্রামে এসে, সে বুঝতে পেরেছিল, মানুষদের সব সময় নিজস্ব পৃথিবী, নিজস্ব সংগ্রাম থাকে, এবং তাদের যুদ্ধে জেতার জন্য শুধু ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রম দরকার।
রূপালি জানতো, জামালের প্রতি তার প্রেম গভীর হচ্ছে, কিন্তু সে এটাও জানতো, যে তাদের প্রেমের মাঝে কিছু বাধা আছে। সে জানতো, জামালের পরিবার এবং তার জীবন কখনো মিলবে না। শহরের অভিজ্ঞান আর গ্রামের কষ্টের মধ্যে এক ভিন্ন দৃষ্টি থাকে, যা তাদের সম্পর্কের মাঝে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
সাহসের কথা
একদিন, রূপালি জামালকে বললো, “জামাল, তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তবে আমাদের সম্পর্কের জন্য সাহস দরকার। শুধু প্রেম নয়, আমাদের মধ্যে যে কষ্টগুলো আছে, তা মোকাবেলা করার জন্য আমাদের মনোবল চাই।”
জামাল কিছু সময় চুপচাপ থেকে রূপালির দিকে তাকালো। তার চোখে ছিল এক অদ্ভুত দৃঢ়তা, যেন সে জানে, এই সম্পর্কের জন্য তাকে অনেক কিছু করতে হবে। তবে সে জানতো, একদিন তারা এই সম্পর্কের মাধ্যমে সব বাধা জয় করবে।
বাস্তবতার অবচেতন চাপ
এদিকে জামালের বাবা, মা, তাদের প্রতিবেশীদের সব কিছুর পরও জানতো না, তাদের ছেলেটির জীবনে এমন কোনো প্রেম আছে, যা তার জীবনের পথ চেঞ্জ করে ফেলবে। জামাল তাদের কাছে কখনো কিছু বললো না, কারণ সে জানতো, তার পরিবার আর তাদের জীবন কখনো রূপালির শহুরে জীবনের মতো হবে না। তবে একদিকে সে জানতো, যে সব কিছু সামলাতে হবে, প্রেমও সহ্য করতে হবে, কিন্তু বাস্তবতা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।
একদিন, জামাল তার বাবার সঙ্গে বসে আড্ডা মারছিল। জামালের বাবা তার দিকে তাকিয়ে বললেন, “জামাল, তুমি জানো না, জীবনে সফল হতে হলে কি করা লাগে?” জামাল সোজা চোখে তাকিয়ে বললো, “বাবা, সফলতা শুধু টাকা, বাড়ি বা গাড়ি নয়। সফলতা হলো নিজের ভালোবাসাকে সম্মান করা, নিজের পরিবারকে সম্মান করা এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সংগ্রাম করতে থাকা।”
বাবা একটু হাসলেন, “ঠিক বলেছো, জামাল। কিন্তু এই পথে সফল হতে হলে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হবে। সব সময় তোমাকে শুধু কষ্টের দিকে না তাকিয়ে, সামনে দেখতে হবে।”
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
এভাবে দিনগুলি কেটে যাচ্ছিল, জামাল ও রূপালি তাদের সম্পর্ককে আরও গভীরভাবে বুঝতে পারছিল। তারা জানতো, তাদের প্রেম কেবলমাত্র একে অপরকে ভালোবাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ না, বরং তারা একে অপরকে সাহায্য করছিল জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়। তারা জানতো, একদিন তাদের এই সম্পর্ক একটি শক্তিশালী সম্পর্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
কিন্তু জামাল ও রূপালির মাঝে আরও কিছু সময়ের জন্য চাপ ছিল। তাদের নিজস্ব পৃথিবী, দারিদ্র্যতা, শহুরে জীবন এবং গ্রামের জীবন—এ সবই ছিল তাদের সম্পর্কের মাঝে এক অদ্ভুত বাধা। তবে তারা জানতো, এসব বাধা অতিক্রম করতে হলে তাদের আরও শক্তিশালী হতে হবে, তাদের একে অপরকে আরো বেশি সহ্য করতে হবে।
গল্পের নাম: "বাস্তবের ছায়া" (অংশ ৪)
জামাল ও রূপালি একে অপরকে ভালোবাসতো, কিন্তু তাদের জীবনের বাস্তবতা ছিল কঠিন। তাদের প্রেম কেবল তাদের নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তাদের পরিবার এবং সমাজের প্রত্যাশাও তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল। গ্রামে জামালকে চেনে সবাই, কিন্তু রূপালি শহরের মেয়ে, তার জীবনযাত্রা আলাদা। জামাল জানতো, রূপালি কখনো পুরোপুরি গ্রাম্য জীবনকে মেনে নিতে পারবে না, কিন্তু সে বিশ্বাস করতো যে তাদের সম্পর্ক শক্তিশালী enough যে তারা সব বাধা পেরিয়ে একসাথে থাকতে পারবে।
পরিবারের চাপ
একদিন জামাল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে ছিল। তার বাবা জানালেন যে গ্রামের মধ্যে কয়েকটি ভালো চাকরির সুযোগ এসেছে। জামাল জানতো, তার বাবা চায় সে গ্রামের বাইরে কাজ শুরু করুক, যেন তার পরিবার আরও ভালোভাবে থাকতে পারে। জামাল তার বাবার কথা শুনে কিছুক্ষণ চুপ ছিল। একদিকে তার পরিবারকে সম্মান জানাতে হতো, অন্যদিকে তার নিজের জীবন, নিজের প্রেমের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল। সে ভাবছিল, "যে জীবন আমি বেছে নেবো, সেটা কেমন হবে?"
এসময় জামালের মা বললেন, “তুমি জানো, জামাল, তোমার বাবা যতটা পরিশ্রম করে, আমাদের এই দারিদ্র্যতা কাটানো সম্ভব নয়। যদি তুমি শহরে গিয়ে ভালো কিছু করো, তাহলে আমাদের জীবন একটু ভালো হতে পারে।” জামাল তার মায়ের চোখে তাকিয়ে বুঝতে পারলো, তাদের পক্ষে কিছুই সহজ নয়। গ্রামের মধ্যে জীবন চালিয়ে নিয়ে যেতে হলে, তাকে তার স্বপ্ন এবং প্রেমের সব কিছু ত্যাগ করতে হবে।
রূপালির অস্পষ্ট ভবিষ্যৎ
একদিন রূপালি তার শহরের জীবন নিয়ে চিন্তা করছিল। সে জানতো, জামালের সাথে তার সম্পর্ক কখনো শহরের মানদণ্ডে পূর্ণতা পাবে না। শহরের জীবনে যারা বড় সুযোগ-সুবিধায় অভ্যস্ত, তারা গ্রামে থাকা মানুষের সহজ জীবনযাত্রাকে কখনো পুরোপুরি মেনে নেবে না। রূপালি জানতো, জামালও কোনোদিন শহরের জীবনযাত্রার অভ্যস্ত হবে না। তাদের মধ্যে অনেক ফারাক ছিল—এটা সে বুঝতে পেরেছিল। সে ভাবছিল, “কি হবে আমাদের ভবিষ্যৎ?”
তবে একদিন রূপালি জামালকে বললো, “জামাল, তোমার বাবা-মা চায় তুমি তাদের জন্য কিছু করো, আমি জানি। কিন্তু তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাসো, তুমি কখনো আমার স্বপ্নের দিকে নজর দিবে না, তুমি কি জানো?”
জামাল তার দিকে তাকিয়ে বললো, “রূপালি, আমি জানি তুমি শহরের জীবন পছন্দ করো, তবে আমার এখানে থাকার মানে শুধু তুমিই নয়, আমি এখানে শুধু প্রেমের জন্য থাকতে চাই না। তবে আমি জানি, তোমার স্বপ্ন পূরণ করাটাও আমার দায়িত্ব।”
গ্রামের জীবন ও কঠিন সংগ্রাম
জামাল জানতো, তার জীবন একটি কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যাবে। সে জানতো, শুধু প্রেম নয়, বাস্তবতাও এক বিরাট জিনিস, যা তাকে সহ্য করতে হবে। একদিকে তার পরিবারের জন্য কিছু করতে হবে, অন্যদিকে রূপালির স্বপ্নের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। কিন্তু সেগুলো যদি পরস্পরের মধ্যে মিলে না যায়, তবে তাকে একদিন কোনো না কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এমন এক দিন এসে পৌঁছলো, যখন জামাল বুঝতে পারলো, তাকে জীবনে বড় কিছু করতে হলে হয়তো তার বাবার মতো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কিন্তু একই সাথে, সে জানতো, রূপালির মতো একজন মানুষকে ভালোবাসলে তাকে শুধু স্বপ্ন দেখা নয়, বাস্তবতার মধ্যেও পথ চলতে হবে।
অবিশ্বাস্য চ্যালেঞ্জ
জামালকে একদিন গ্রামে বাঁচতে থাকা এক ব্যক্তি বললো, “জামাল, তুমি জানো না, তোমার জীবনের জন্য কী অপেক্ষা করছে। যারা ছোট গ্রামে থাকে, তারা কখনো বড় কিছু পায় না।” জামাল তখনই দৃঢ়তার সাথে বললো, “ঠিকই বলেছো, আমি জানি যে আমার জীবনে বড় কিছু অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমি জানি, আমি যদি আজকের দিনের মতো পরিশ্রম করি, একদিন আমাদের পৃথিবী বদলে যাবে।”
এই কথা শোনার পর জামাল বুঝতে পারলো, যে জীবন সে বেছে নিতে যাচ্ছে, সেটি কঠিন হবে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তার নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং পরিবারকে নিয়ে তার পরবর্তী জীবন কিছুদিন পরেই পালটে যাবে।
রূপালির শেষ সিদ্ধান্ত
একদিন রূপালি তার পরিবারের সাথে গ্রামে ফিরে আসে। সে জানতো, তার ভবিষ্যৎ আর জামালের ভবিষ্যৎ এক জায়গায় মিশবে না। শহরের জীবন এবং গ্রাম্য জীবন কখনো একসাথে চলতে পারে না। রূপালি জামালকে বললো, “জামাল, আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো, কিন্তু আমার স্বপ্ন অন্য জায়গায়। আমি জানি আমাদের সম্পর্ক এখনো সঠিক পথেই আছে, তবে আমার মনে হয়, আমি একা এই পথে যেতে চাই।”
জামাল জানতো, রূপালি যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তাকে মেনে নিতে হবে। তবুও তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত বেদনা ছিল, কারণ সে জানতো, তার ভালোবাসা এবং সম্পর্কের মধ্যে বাস্তবতার চাপ কেমন ছিল। তবে জামাল শেষ পর্যন্ত রূপালির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাল, এবং জানালো, “যতদূর সম্ভব, আমি তোমার পাশে থাকবো।”
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ
নিজের ব্লগে ই-কমার্স ফিচার যুক্ত করার উপায় (প্রোডাক্ট বিক্রি করুন সরাসরি ব্লগ থেকেই)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
Google Sites দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করুন (Step by Step বাংলা গাইড ২০২৫)
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন