সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

 জামাই বাবাজির দুঃস্বপ্ন: শাশুড়ির একদিনের হুকুম!

গ্রামের এক চৌকস যুবক শামীম, যার জীবন বিয়ের পর পুরোপুরি পাল্টে গেছে! কারণ একটাই—তার শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম!

একদিন সকালে শামীম ঘুম থেকে উঠেই দেখল, শাশুড়ি মুচকি হাসছেন। জামাইয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়লো।

শাশুড়ি: “আজকের দিনটা তোর জন্য স্পেশাল! আমার সব কাজ তুই করবি!”

শামীম: “মানে!? আমি কি হুট করে চাকরিতে ঢুকে গেলাম?”

শাশুড়ি: “হ্যাঁ! বেতন ছাড়া চাকরি! এখন যা, বাজার থেকে ৫ কেজি আলু, ৩ কেজি পেঁয়াজ, আর ২ কেজি ইলিশ মাছ নিয়ে আয়।”

শামীম তো হতভম্ব! বাজারের দিকে যেতে যেতে ভাবল, “শাশুড়ির একটা দোকান খুলে ফেলা উচিত! সবসময় শুধু আদেশের লিস্ট!”

বাজারের কাণ্ড

বাজারে গিয়ে সে মাছওয়ালাকে জিজ্ঞেস করল,

শামীম: “ভাই, ইলিশ কত?”

মাছওয়ালা: “এক হাজার টাকা কেজি!”

শামীম: “এই যে দাদা, ভুল বুঝছেন! আমি কিনতে আসছি, পুকুর লিজ নিতে না!”

সাইড থেকে এক বুড়ো হেসে বলল, “বাবাজি, জামাই মানুষ, দরদাম কম কইরেন না! না হলে বাড়িতে ঢুকতেই দেবে না!”

যথাসাধ্য দরদাম করে যখন শামীম বাড়ি ফিরল, তখন শাশুড়ি বললেন, “হায় হায়, এই যে ইলিশ এনেছো, এত ছোট কেন?”

শামীম: “এটা ইলিশের বাচ্চা না, বাজারের বড় মাছের মধ্যে সবচেয়ে কম দামেরটা!”

শাশুড়ির চেহারার অবস্থা দেখে শামীম বুঝল, তার পরবর্তী আদেশ আসতে বেশি দেরি নেই!

কিচেন ট্র্যাজেডি!

শাশুড়ি এবার বললেন, “যা, তরকারি কাট। আর ভুল করলে খবর আছে!”

শামীম ছুরি হাতে নিতেই মনে হল, এই মুহূর্তে সে কোন ব্লেড মাস্টারের চেয়ে কম কিছু না! কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে সে বুঝে গেল, তরকারির বদলে সে নিজের আঙুলই কেটে ফেলবে!

তার স্ত্রী হাসতে হাসতে বলল, “ওহ! জামাই বাবাজির ব্লেড মাস্টারি! আঙুল রেখে সবজি কাটো!”

সেদিন তরকারি কাটতে গিয়ে শামীম বোঝে, বিয়ে মানেই শুধু ভালোবাসা না, কিচেনে যুদ্ধ করাও একরকম ভালোবাসার অংশ!

সন্ধ্যার ধামাকা!

সারাদিনের কাজের পর শামীম ভাবল, এবার বোধহয় একটু শান্তি পাবে। কিন্তু ঠিক তখনই শাশুড়ি নতুন আদেশ দিলেন!

“জামাই বাবাজি, এই নাও মশার কয়েল, বাইরে বাগানে গিয়ে জ্বালাও!”

শামীম কয়েল জ্বালিয়ে ফিরে আসতেই শাশুড়ি বললেন, “বাগানেও পানি দাও!”

শামীম মনে মনে ভাবল, “বিয়ের আগে যদি জানতাম, বাগানেরও জামাই লাগবে, তাহলে কৃষি বিষয়ে ডিগ্রি নিয়ে আসতাম!”

এক চরম শিক্ষা!

রাতের খাবার শেষে, শামীম নিজের স্ত্রীকে বলল,

শামীম: “তোমার মা কি সব জামাইদের এভাবে ট্রেনিং দেন?”

স্ত্রী: “হুম, যাদের ভীষণ আদর করেন, তাদেরকেই কাজ শেখান!”

শামীম মনে মনে ভাবল, “হায়রে আদর! বাকি জামাইদের অবস্থা কী জানি!”

মন্তব্যসমূহ