সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

https://dmmsoftware.top/

Please visit : https://dmmsoftware.top/ 

 

শাশুড়ির রহস্যময় হ্যান্ডব্যাগ জামাইর অভিযান!

একবার এক গ্রামে ছিলো বাপ্পি নামের এক যুবক। বিয়ের পর থেকেই তার একটা চ্যালেঞ্জ শুরু হয়শাশুড়ির রহস্যময় হ্যান্ডব্যাগের গোপন রহস্য উদঘাটন করা! তার শাশুড়ি, রেণু বেগম, ছিলেন গ্রামের সবচেয়ে রহস্যময় নারী। প্রতিদিন তার বিশাল হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে কোথায় যান, কী করেন, কেমন করে এত জিনিস ওই ব্যাগে ধরে, এসব নিয়ে গ্রামের মানুষের মধ্যেও কৌতূহল ছিলো চরমে। কিন্তু কেউ কোনোদিন এই রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি।

শাশুড়ির রহস্যজনক হ্যান্ডব্যাগ!

বাপ্পির মনে হলো, এই রহস্য ভেদ করা তার জামাই হিসেবে দায়িত্ব! একদিন সে শাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে সুযোগ খুঁজছিলো, কিভাবে ব্যাগের ভেতরে উঁকি মারা যায়। সে জানত, কাজ সহজ হবে না। কারণ, রেণু বেগম কখনোই তার ব্যাগ কাউকে ধরতে দিতেন না, এমনকি ভুল করেও!

বাপ্পি কিছুদিন শাশুড়িকে লক্ষ্য করে দেখল, তিনি যখনই বাজারে যান, তখন ব্যাগের ওজন কম থাকে। কিন্তু ফেরার সময় মনে হয়, একটা ট্রাকভর্তি জিনিস নিয়ে আসছেন! এটা কিভাবে সম্ভব? ব্যাগ কি ম্যাজিক ব্যাগ? নাকি কোনো গোপন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?

মিশন: হ্যান্ডব্যাগ তল্লাশি!

একদিন সুযোগ পেয়েই বাপ্পি ব্যাগের দিকে হাত বাড়ালো। কিন্তু ঠিক তখনই শাশুড়ি রুমে ঢুকে পড়লেন।

  • "কী করছো জামাই বাবাজি?" রেণু বেগম চোখ ছোট করে তাকালেন।
  • "উহ, উহআমি তো...আমি আসলে পানি খুঁজছিলাম!"
  • "তাহলে ফ্রিজের দরজা ধরো, আমার ব্যাগ কেন? পানি কি ব্যাগে রাখি?" বলেই তিনি ব্যাগটি বুকে জড়িয়ে ধরে ফেললেন।

বাপ্পি বুঝল, ব্যাপারটা কঠিন। এবার অন্য কৌশল নিতে হবে।

শাশুড়ির সাথে লুকোচুরি!

একদিন বাপ্পি ঠিক করল, সে শাশুড়িকে অনুসরণ করবে। দেখবে, ব্যাগ থেকে কী বের হয় আর কী ঢোকে। সকাল বেলা রেণু বেগম বের হলেন বাজারে। বাপ্পি চুপিচুপি তার পেছনে চলতে লাগলো। এক পর্যায়ে শাশুড়ি ঢুকলেন একটা কাঁচাবাজারে।

বাপ্পি দূর থেকে দেখল, শাশুড়ি ব্যাগ খুললেন, আর ভেতর থেকে বের করলেনএকটা ছোট্ট ছাতা! ছাতা খুলে বাজারের আলু-পটলের ওপর ছায়া দিলেন। বাপ্পি অবাক! এই ব্যাগের ভেতর একটা ছাতা থাকলো কীভাবে?

এরপর শাশুড়ি আবার ব্যাগে হাত দিলেন। এবার বের হলো একটা বিশাল মাছ! এত বড় মাছ কি করে ব্যাগের মধ্যে ঢুকলো? বাপ্পি হতভম্ব।

পরবর্তী ৩০ মিনিটে তিনি ব্যাগ থেকে বের করলেন. একটা কাঁঠাল (অর্ধেক কাটা!), . পাঁচ কেজি চাল, . দুইটা গ্যাসের সিলিন্ডারের মতো দেখতে বেগুন, . একটা ছোটখাট বাচ্চা ছাগল! . হঠাৎ করেই একটা বেলুন বের হলো, আর সেটা ফোলাতে না ফোলাতেই বাপ্পির মাথার উপর ফেটে গেল! . একটা ছোট্ট বেতের মোড়া, যা দেখে বাপ্পি ভাবল, "এই ব্যাগে আর কী কী লুকিয়ে আছে? একটা ছোটখাট আসবাবপত্রের দোকানই কি!"

বাপ্পি ভাবল, "এটা কি ব্যাগ, নাকি ডোরা মনির পকেট!"

অবশেষে রহস্য ফাঁস!

সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে বাপ্পি তার স্ত্রী মিলিকে সব বলল।

  • "তুমি বলছো মা ব্যাগ থেকে একটা ছাগল বের করেছে?"
  • "হুম! বিশ্বাস করো, আমি নিজ চোখে দেখেছি!"
  • "উফফ! এতো সহজ ব্যাপার! মা সব সময় বাজারে যাওয়ার সময় খালি ব্যাগ নিয়ে যান। ফেরার সময় যতদূর সম্ভব বাজারের জিনিস ঢুকিয়ে আনেন। আর যেগুলো ঢুকবে না, দোকানদারদের বলে দেন, যেন বাসায় পৌঁছে দেয়! তুমি হুদাই গোয়েন্দাগিরি করছো!"

বাপ্পি থতমত খেয়ে গেল! সে এতদিন ধরে যে রহস্য উদঘাটন করতে চাইছিল, সেটা আসলে কোনো রহস্যই ছিল না! তবে সে প্রতিজ্ঞা করল, ভবিষ্যতে কোনো কিছু নিয়ে সন্দেহ করার আগে মিলির সাথে আলোচনা করবে। কারণ, শাশুড়ির হ্যান্ডব্যাগের মতো কিছু কিছু ব্যাপার ব্যাখ্যা করা কঠিন হলেও, কখনো কখনো তার উত্তর একেবারে চোখের সামনেই থাকে!

এক চরম পরিণতি!

তবে ব্যাপার এখানেই শেষ নয়। পরের দিন বাপ্পি নিজেই এক ঘটনা দেখে চমকে গেল! সে দেখল, শাশুড়ি ব্যাগের ভেতর থেকে একে একে বাসার কাজে লাগানোর জন্য কিছু জিনিস বের করছেন।

১. একটা ছোট্ট ইস্ত্রি, ২. এক বোতল সরিষার তেল, ৩. একটা তাসের সেট, ৪. একটা হাতপাখা, ৫. একটা মশার কয়েল!

এবার বাপ্পি সত্যিই বিশ্বাস করতে লাগল যে এই ব্যাগ কোনো সাধারণ ব্যাগ নয়! কিন্তু ঠিক তখনই শাশুড়ি হাসি দিয়ে বললেন,

  • "বুঝলি বাপ্পি, ভালো গিন্নির ব্যাগ মানেই একটা চলন্ত সুপার শপ! এখন বোঝা গেল?"

বাপ্পি হতভম্ব হয়ে বুঝতে পারল, আসল রহস্য তো ছিল শাশুড়ির দারুণ কৌশল আর সাংসারিক বুদ্ধির মধ্যে!



মন্তব্যসমূহ